টলিউড ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও মধুমিতা সরকারের (Madhumita Sarcar) নামটা এখন গুঞ্জরিত হচ্ছে সর্বক্ষণ। নায়ক নায়িকারা অভিনয়ের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও একই রকম সক্রিয় থাকেন। কিন্তু মধুমিতার জনপ্রিয়তা পৌঁছেছে আলাদা উচ্চতায়। বিশেষ করে বড়পর্দায় পা দেওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এত রমরমা মধুমিতার। এখন কার্যত একটা ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছেন তিনি।
মধুমিতাকে সবথেকে বেশি খ্যাতি এনে দেয় স্টার জলসার ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’। এই ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে দেখা মিলেছিল মধুমিতার। পাখি চরিত্রে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। বিপরীতে দেখা মিলেছিল বর্তমান টলিউড তারকা যশ দাশগুপ্তের। অরণ্য পাখির রসায়ন এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে পরবর্তীকালে আবারো ফিরিয়ে আনা হয় এই জুটিকে।
বোঝেনা সে বোঝেনা-র পর ‘কুসুম দোলা’ সিরিয়ালেও অভিনয় করেছিলেন মধুমিতা। জনপ্রিয়তাকে সঙ্গী করেই ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দায় লাফ দেন তিনি। প্রথম দিকে বক্স অফিসে তেমন ছাপ ফেলতে না পারলেও অবশ্য খ্যাতি ধরে রাখতে পেরেছেন অভিনেত্রী। তবে সব কিছুরই একটা ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিক রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার পাশাপাশি ট্রোলিংও কম হয় না তাঁকে নিয়ে। কিন্তু কখনোই কোনও ট্রোলের উত্তর দেন না মধুমিতা। এমনকি অনুরাগীদের পক্ষেও মুখ খুলতে দেখা যায় না তাঁকে।
সম্প্রতি মধুমিতার একটি পোস্ট নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্পূর্ণ নেটের তৈরি একটি টপের সঙ্গে সিক্যুইনের স্কার্ট পরে ক্যামেরার সামনে পোজ দেন তিনি। অত্যন্ত হট অবতারে অভিনেত্রীকে দেখে রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল নেটিজেনদের। এই ছবিগুলি নিয়েই কুৎসিত ট্রোলের মুখে পড়েছিলেন মধুমিতা। পালটা এক নেট নাগরিক তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ করেন। শুধু মধুমিতা বোল্ড ছবি শেয়ার করলেই সবাই রে রে করে ওঠেন। অন্য টলিউড বা বলিউড অভিনেত্রীরা শেয়ার করলে কেউ কিছু বলেন না কেন? এমনকি মধুমিতার মাকে পর্যন্ত কুৎসিত ভাষায় কটাক্ষ করা হয়েছে। ওই অনুরাগীকেও কেউ কেউ আক্রমণ করেছেন। কিন্তু অদ্ভূত ভাবে কোনো মন্তব্যেরই কোনো উত্তর দেননি মধুমিতা। তিনি নিজের কাজেই মন দিয়েছেন।
View this post on Instagram