Hoop PlusTollywood

Madhumita Sarcar: পুলের জলে শরীর ভাসিয়ে হাতছানি মধুমিতার, জলপরী হয়ে উত্তাপ বাড়ালেন ‘পাখি’

মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarcar) মানেই উন্মাদনা। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি একজন অনুপ্রেরণা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ফলোয়ার অগুন্তি। মধুমিতার ফ্যাশন স্টেটমেন্ট ফলো করেন এমন তরুণী যুবতীদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতম জনপ্রিয় নাম হয়ে উঠেছেন মধুমিতা। বলিউডেও পৌঁছে গিয়েছে তাঁর খ্যাতি। তিনি নিজেও খুব শীঘ্রই কাজ করতে চলেছেন হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে।

মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই এত জনপ্রিয়তা মধুমিতার। তাঁর খ্যাতির সূত্রপাতটা অবশ্য হয়েছিল ছোটপর্দা থেকে। সানন্দা টিভির ‘সবিনয় নিবেদন’ নামে একটি সিরিয়ালে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। তারপর কাজ করেন ‘কেয়ার করি না’ সিরিয়ালেও। সেই ধারাবাহিকটিও বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। তবে মধুমিতাকে সবথেকে বেশি খ্যাতি এনে দেয় স্টার জলসার ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’। এই ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে দেখা মিলেছিল মধুমিতার। পাখি চরিত্রে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। বিপরীতে দেখা মিলেছিল বর্তমান টলিউড তারকা যশ দাশগুপ্তের। অরণ্য পাখির রসায়ন এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে পরবর্তীকালে আবারো ফিরিয়ে আনা হয় এই জুটিকে।

বোঝেনা সে বোঝেনা-র পর ‘কুসুম দোলা’ সিরিয়ালেও অভিনয় করেছিলেন মধুমিতা। জনপ্রিয়তাকে সঙ্গী করেই ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দায় লাফ দেন তিনি। প্রথম দিকে বক্স অফিসে তেমন ছাপ ফেলতে না পারলেও অবশ্য খ্যাতি ধরে রাখতে পেরেছেন অভিনেত্রী। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর জনপ্রিয়তার গ্রাফ বরাবরই উর্দ্ধমুখী। ইনস্টাগ্রামে ২০ লক্ষের বেশি ফলোয়ার রয়েছে মধুমিতার। তাঁর এক একটি পোস্টের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন অনুরাগীরা।

সম্প্রতি দুটি ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন মধুমিতা। সুইমিং পুলের নীল জলে গা ভাসিয়ে দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে হালকা মেকআপ, ভিজে চুল ছড়িয়ে রয়েছে পিঠের উপরে। মাত্র কয়েক ঘন্টাতেই ২০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে এই পোস্টে লাইকের সংখ্যা। অনুরাগীরা অনেকে মধুমিতাকে ‘জলপরী’র আখ্যাও দিয়েছেন। আগামীতে ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’ ছবিতে দেখা যাবে মধুমিতাকে। শিলাদিত্য মৌলিক পরিচালিত ছবিটিতে তাঁর বিপরীতে রয়েছেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও একটি হিন্দি ছবি এবং দক্ষিণী ছবিতেও অভিনয় করার কথা রয়েছে মধুমিতার।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই