অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহানের নামটা উঠলেই মাথায় আসে ছিপছিপে লম্বা গড়নের এক সোজাসাপ্টা অভিনেত্রী। যিনি প্রায়শই তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের জন্য শিরোনামে থাকেন। মাঝেমধ্যেই তাঁর ফ্যাশন ডায়েরি থেকে ছবি নিয়ে হাজিরও হয়ে যান অনুসারীদের সামনে। সমুদ্র তাঁর বেশ পছন্দ। মাঝেমধ্যেই যশ-এর হাত ধরে সমুদ্রে ঘুরতে যান। বলা বাহুল্য, সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে কাজের তো দারুণ চাপ। তাই ঘুরতে যাওয়াও দায়। তাই বাড়িতে বসেই সমুদ্র তীরের বিশেষ মুহুর্তকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরলেন। এক কথায় যাকে বলে হট-সট ফটো।
অতিসম্প্রতি শেয়ার করা নুসরতের ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে। রোদ মাখা গায়ে হলুদ বিকিনিতে লাস্যময়ী তিনি। উপরে দেওয়া সাদা জালি। ক্যাডমিয়াম হলুদ বিকিনির মাঝে থেকে উঁকি মারছে নিদারুণ উষ্ণতা। সাথে খোলা এলোমেলো চুল এবং লাল ঠোঁটের আঁকিবুকি বেশ অন্যরকম লুক টেনেছে। নুসরাত তাঁর ক্যাপশনে লিখেছেন, “আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাও সমুদ্রের দেশে।” অনুরাগীরা তো দারুন খুশি। মন্তব্য দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। “তোমায় দেখে তো হায় গরমি গান টা মনে পড়ে যাচ্ছে। সুপার হট লাগছে তোমায়।”
View this post on Instagram
স্টাইল এবং ট্রেন্ডসের ক্ষেত্রেও কিন্ত নুসরতের জুড়ি মেলা ভার। তাঁর ভাষায়, “জনসমক্ষে উপস্থিত হতে সর্বদাই আমাদের একজন স্টাইলিস্ট লাগে, কিন্তু প্রতিদিন স্টাইলিশ হওয়ার বিষয়ে, আমি মনে করি আমি স্টাইলের চেয়ে আরাম পছন্দ করি। আমি আমার সোয়েটশার্টে অনেক বেশি খুশি। আমি অনুসরণ করি এমন কোন নির্দিষ্ট স্টাইল নেই এবং আমি আসলে ট্রেন্ডিং-এর পিছনে দৌড়াই না। আমার স্টাইলিস্টরাও সেটা বোঝেন। তাই আমার জন্য ডেনিম এবং টিস, মসলিন শাড়িই ধার্য থাকে। আমি সবসময় টাই-ডাই জামাকাপড় পছন্দ করি, এমনকি যখন সেগুলি খুব বেশি ট্রেন্ডে থাকে সেগুলোকেও আঁকড়ে থাকতে ভালো লাগে।”
যশ দাশগুপ্তের সাথে সুন্দরী সাংসদ-অভিনেত্রীর সম্পর্কটি কিন্তু বেশ মধুর। অনেক সমালোচনার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করতে হলেও তাঁদের সম্পর্ক নেটিজন থেকে আমজনতা সবার জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে অভিনেত্রীও একটু বিরক্ত বটে। নুসরতের ভাষায়, “আমি জানি না কেন আমার বিয়ের বিষয় নিয়ে মানুষ এত ভাবছেন কেন? যাঁরা অনবরত আমাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে থাকেন তাঁদের জন্য একটাই প্রশ্ন, আপনারা কি আশা করেন? যে আমি সবাইকে ডেকে বলব, আমি বিয়ে করছি? যদি তাই হয়, আপনি ভুল জিনিস আশা করছেন। আমি যদি আমার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কথা বলতে অপছন্দ করি, তবে এটি আমার পছন্দ, তাই না? আমি মনে করি যে দুজন বিবাহিত তাঁরা নিজেদেরই মানলে হলো। কারণ তাঁদের নিজেদের খুশিটাই একান্ত দরকার।”