বলিউডের নব্বইয়ের দশকের কিছু জনপ্রিয় অভিনেত্রীর তালিকায় মাধুরী দীক্ষিতের (Madhuri Dixit) নাম থাকে উপরের সারিতে। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন দুই পর্দাতেই তিনি নাম কুড়িয়েছেন দেদার। তার অভিনয়ের দক্ষতা ও হাসির মিষ্টতা দিয়েই তিনি মন জয় করেছেন দর্শকদের। তবে শুধু অভিনয় নয়, নৃত্যশিল্পী হিসেবেও বেশ জনপ্রিয় বি-টাউনের এই ‘বিউটি-কুইন’। ইতিমধ্যে তার নাচের ঝলক যেমন প্রেক্ষাগৃহের উষ্ণতা বৃদ্ধি করেছে একটা দীর্ঘ সময়, তেমনই আবার এখন অভিনেত্রীকে বিভিন্ন ডান্স রিয়েলিটি শোয়ের বিচারকের আসনে দেখা যায়। এককথায় এখনো অভিনেত্রী একইভাবে জুড়ে আছেন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে।
সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, সকলের জীবনে ঘটে এমন কিছু ঘটনা, যা রয়ে যায় চিরস্মরণীয় হয়ে। এইসব ঘটনা কারো ক্ষেত্রে হয় আনন্দদায়ক, কারো ক্ষেত্রে হয় দুঃখের, আবার কারো ক্ষেত্রে এইসব অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া ভয় ও আতঙ্ক সারাটা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়। এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে বলি-তারকা মাধুরী দীক্ষিতের জীবনেও। তার জীবনে রয়েছে এমন এক অন্ধকার রাতের অভিজ্ঞতা, যা তিনি ভুলতে পারেননি আজও। সেই ভয় ও আতঙ্ক এখনো তার মনের এক কোণে রয়ে গেছে জীবন্ত হয়ে। এবার ‘কপিল শর্মা শো’তে এসে সেই অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী।
এই শোয়ে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে অভিনেত্রী বলেন তার সেই ভয়াল অভিজ্ঞতার কথা। তার কথা থেকে জানা যায় যে কিছুদিন আগেই তার বাড়িতে পাওয়ার-কাট হয়ে যায় আচমকা। তখন তিনি ইলেকট্রিশিয়ানকে ফোন করলে তিনি নাকি চারজন অচেনা লোককে পাঠিয়ে দেন অভিনেত্রীর বাড়িতে। প্রথমে অন্ধকার ঘরে অচেনা চারজনকে দেখে কিছুটা ভয় পেয়েছিলেন মাধুরী। তবে তাদের মধ্যে তিনজন অস্বস্তিকর কোনো ব্যবহার না করে কাজ শুরু করলেও চতুর্থজন নাকি সমানে তাকে দেখে যাচ্ছিলেন অপলক দৃষ্টিতে। আর এমন অচেনা কোনো ব্যক্তির নিস্পলক দৃষ্টি যথেষ্ট ভয়ের সঞ্চার ঘটিয়েছিল অভিনেত্রীর মনে। তিনি নাকি ভয়ে সিঁটিয়ে যান বাড়ির এক কোণায়।
তবে এই অভিজ্ঞতা ভয়ের হলেও, শেষমুহূর্তে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ফেরেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন যে কাজ সেরে যাওয়ার আগে তাকে দেখতে থাকা সেই চতুর্থ অচেনা ব্যক্তি নাকি বলেন যে তিনি কাজ করতে নয়, শুধুমাত্র তাকে দেখতেই এসেছিলেন তার বাড়িতে, কারণ মাধুরী নাকি তার প্রিয় অভিনেত্রী।
View this post on Instagram