Vastu Tips: তুলসী গাছ নিয়ে এই ভুল কখনো করবেন না, সংসারে নেমে আসবে ঘোর দুর্যোগ
বাস্তুশাস্ত্র (Vastu) নিয়ে চর্চা বাড়তেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সচেতন হতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। বাস্তুশাস্ত্রে বিভিন্ন গাছের শুভ অশুভ গুণ নিয়েও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে। বিশেষ করে তুলসী গাছের শুভ অশুভ প্রভাব নিয়ে অনেক কিছুই বলা হয়েছে বাস্তুশাস্ত্রে। প্রাচীন কাল থেকেই হিন্দু গৃহস্থের ঘরে তুলসী গাছ রাখা হয়ে আসছে। গ্রাম থেকে শহরেও দৃশ্যটা একই রকম। অনেকের বাড়িতে রীতিমতো বাঁধানো বেদী বানিয়ে সুদৃশ্য তুলসী মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়। প্রতি দিন সন্ধ্যায় বাড়ির মহিলারা তুলসী মঞ্চে প্রদীপ দিয়ে, শাঁখ বাজিয়ে সন্ধ্যা দেন। এই রেওয়াজ গ্রামে এখনো দেখা যায়।
শহরে যদিও এই প্রথা অনেকাংশেই বিলুপ্ত হয়েছে। কিন্তু এখনো তুলসী গাছকে পুজো করা হয়। এই গাছের সঙ্গে নারায়ণ এবং লক্ষ্মীদেবীর বিশেষ যোগ রয়েছে বলে মনে করা হয়। তুলসী গাছে স্বয়ং মা লক্ষ্মীর বাস। তাই এই গাছকে নিয়মিত পুজো করলে সংসারে কোনো অভাব থাকে না বলেই মানা হয়। কিন্তু তুলসী গাছের যত্ন নিয়ে কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলি সঠিক ভাবে না মানলে দুর্ভোগ অনিবার্য
অনেক পুজোতেই তুলসী পাতা দরকার হয়। কিন্তু শিবের পুজো করার সময়ে এই পাতা ব্যবহার করা উচিত নয় একেবারেই। গণেশ পুজোতেও ব্যবহার হয় না তুলসী পাতা। কোনো উৎসব, পূর্ণিমা, অমাবস্যা, একাদশীর মতো দিনে তুলসী পাতা তোলা উচিত নয় বলে বলা হয় বাস্তুশাস্ত্রে। এমনকি রবিবার কিংবা একাদশী তিথি আর সূর্য এবং চন্দ্রগ্রহণ থাকলে তুলসী গাছের কাছেও যাওয়া উচিত নয়। অন্যথায় পরিবারে বড় দুর্যোগ নেমে আসতে পারে। কোনো সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
বাস্তুশাস্ত্র বলে, তুলসী গাছ সবসময় বাড়ির দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব দিকে রাখা উচিত। এমন জায়গায় গাছটি রাখা উচিত যেখানে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পাওয়া যায়। কিন্তু ঘরের মধ্যে কখনোই তুলসী গাছ রাখা উচিত নয়। তুলসী গাছের গোড়াতেও বেশি জল দেওয়া উচিত নয়। তবে গাছটি যাতে শুকিয়ে মরে না যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা উচিত। তুলসী গাছ মরে যাওয়া অশুভ লক্ষণ। আর যদি তা হয়েও যায়, তবে গাছটি তুলে নিকটবর্তী গঙ্গা বা পরিচ্ছন্ন জায়গায় রাখা উচিত।
Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।