Skin Care: রোদে পুড়ে মুখে কালো দাগ হয়ে গেছে? বিনা খরচায় মেখে নিন গাঁদা ফুলের ফেসপ্যাক
ক্যালেন্ডারের দিকে তাকালে এবার মনে হচ্ছে শীতটা বোধহয় পড়ে গেল। কিন্তু শুধুমাত্র ক্যালেন্ডারের দিকে তাকালেই মনে হচ্ছে না নিজের চামড়ার দিকে তাকালেও মনে হচ্ছে একটু খসখসে ভাব আসছে স্নান করার পরে একটু তেল জাতীয় বা ক্রিম জাতীয় কিছু না মাখলে কেমন যেন একটা লাগছে। তাহলেই বুঝতে পারছেন শীত আসতে কিন্তু আর বেশি বাকি নেই, শীতের সময় ভালো লাগে। কিন্তু এই রোদের মধ্যে অনেকক্ষণ বসে থাকলে চামড়ায় কিন্তু ট্যান আসতে পারে। সেক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন শীতকালে হওয়া অসাধারণ একটি সুন্দর ফুল তা হল গাঁদা।
ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য লাগবে, প্রচুর পরিমাণে গাঁদা ফুল, আমাদের যাদের বাগান আছে, এছাড়া যদি পারেন তো কোন ফুলের বাজার থেকে একটা মালা কিনে আনতে পারেন, সেক্ষেত্রে হলুদ বা কমলা দুই রঙের গাঁদা ফুলই চলবে। প্রথমে গাঁদা ফুল গুলিকি বোটা থেকে ছাড়িয়ে নিতে হবে। বেশ অনেকটা হয়ে যাওয়ার পরে তারপরে মিক্স এতে খুব ভালো করে সামান্য পরিমাণে জল অথবা দুধ দিয়ে একটা ঘন পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপরে ছেঁকে নিতে হবে। পাওয়া যাবে, খুব সুন্দর একটা ক্রিমের মতন অংশ।
সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে প্রয়োজন মতন এলোভেরা জেল। সেক্ষেত্রে বাড়িতে যদি গাছ থাকে, তাহলে একটা পাতা কেটে এনে খুব ভালো করে তার থেকে ফ্রেশ জেল বের করে নিয়ে মেশাতে পারেন, অথবা যদি এরকম গাছ থেকে বানানো জেল ব্যবহার করতে অসুবিধা হয়। তাহলে ব্যবহার করতে পারেন তিসির বীজ থেকে বানানো খুব সুন্দর জেল। কিছু তিসির বীজকে আপনি যে কোন ওষুধের দোকান থেকে সহজে কিনে আনতে পারেন, এরপর এই বীজকে গরম জলে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। তারপরে গরম গরম ছেঁকে নিতে হবে। তাহলেই পেয়ে যাবেন সুন্দর ফ্লেকসিডের জেল।
তাহলে কিন্তু পেয়ে যাচ্ছেন খুব সুন্দর একটা মুখে মাখার ক্রিম। এছাড়া এই ক্রিমটি কিন্তু আপনি যে কোন ফেসপ্যাকে অর্থাৎ এর সঙ্গে সামান্য টক দই, চালের গুঁড়ো মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন। অন্তত এক ঘন্টা রেখে বা যদি ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে রাতে শুতে যাওয়ার সময় নাইট ক্রিম হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন, তারপর সকালবেলা উঠে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেললে কিন্তু আপনার মুখ একেবারে পরিষ্কার, ঝকঝকে হয়ে যাবে।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।