Lifestyle: বাড়িতে আনুন এই পাঁচটি জিনিস, অর্থনৈতিক সংকট দূর হবে
বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যদি আপনার ঘরকে ফেংশুই মতে, অর্থাৎ এই মতানুসারে সাজাতে পারেন তাহলে আপনার জীবনে কষ্ট দুঃখ একেবারে চলে যাবে। ঘর সাজানোর জন্য নানা জিনিস ব্যবহার করা হয়। ভগবানের মূর্তি, আবার সৌখিন সামগ্রী, ঘুরতে বেড়াতে গিয়ে নানান রকম কিছু কিনে এনে আমরা কিন্তু ঘর সাজাই। যদি বাস্তু মেনে এগুলো করতে পারেন, তাহলে কিন্তু আপনার জীবনে অর্থনৈতিক সংকট একেবারে কেটে যাবে। Hoophaap এর পাতায় দেখে নিন অসাধারণ এই টিপস –
১)হাতি– বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, হাতি ঐশ্বর্যের প্রতীক বলে মনে করা হয়। এজন্য রূপো বা পিতলের হাতি ঘরে রাখা শুভ। বেডরুমে রূপোর হাতির মূর্তি রাখতে পারলে রাহুর দোষ কেটে যায়। ফেংশুই অনুযায়ী, ঘরে হাতির মূর্তি বা ছবি থাকলে ধনপ্রাপ্তি হয়। স্টাডি রুম বা অফিসে হাতির পেইন্টিং ঝোলানো, বাস্তুমতে, এটি অত্যন্ত ভালো। আপনি যদি আপনার বাচ্চাদের ঘরে একটি ঝুলিয়ে রাখতে চান, তবে হাতির মা-বাচ্চার ছবি দিন। সম্ভব হলে হাতির বাচ্চার খেলনার মূর্তিটি তাদের পড়ার টেবিলে রাখুন। মা বাবার শোওয়ার ঘরে একটি মা হাতি এবং তার শিশুর একটি ছবি রাখুন।
২)হাঁস– বাস্তু অনুসারে, ঘরে যদি জোড়া হাঁসের মূর্তি রাখতে পারেন, অর্থনৈতিক লাভ হবে। দাম্পত্য জীবনে যদি সুখী হতে চান, তাহলে অবশ্যই একটি মেয়ে এবং একটি ছেলে যদি রাখেন, দেখবেন জীবন কত সুন্দর হয়ে গেছে।
৩)কচ্ছপ– কচ্ছপকে বিষ্ণুর একরূপ বলা হয়, তাই কচ্ছপ ঘরের মধ্যে রাখতে পারেন, তাহলে কিন্তু আপনাদের জীবন অনেকটা ভালো হয়ে যাবে।
৪)লাকি বাম্বু – আপনি যদি আপনার ঘরেই লাকি বাম্বু গাছ রাখেন, তাহলে কিন্তু আপনার জীবন পাল্টে যাবে, অনেক সময় জীবনে অর্থনৈতিক সংকট দেখা যায়, কিন্তু এই লাকি বাম্বু গাছ আপনার অর্থনৈতিক সংকটে একেবারে দূর করে দেবে। তবে খেয়াল রাখবেন, লাকি বাম্বু গাছ যেন কোনোভাবেই নষ্ট না হয় অর্থাৎ নষ্ট হয়ে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়া গাছ কখনোই রেখে দেবেন না, এতে কিন্তু হিতে বিপরীত হবে।
৫)লাফিং বুদ্ধ মূর্তি – আপনি যদি আপনার ঘরের মধ্যে একটি লাফিং বুদ্ধ মূর্তি রাখতে পারেন। বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি অত্যন্ত শুভ হবে। লাফিং বুদ্ধ মূর্তির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পজেটিভ এনার্জি, যাদের বাড়ি নেগেটিভ এনার্জিতে ভর্তি হয়ে গেছে তারা অবশ্যই একটি সদা হাস্যরত লাফিং বুদ্ধ মূর্তি এনে রেখে দিন।
Disclaimer: বাস্তুবিদদের পরামর্শ ও মতামতের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল ভিন্ন হতে পারে।