Bengali SerialHoop Plus

Mithi Jhora: ‘সন্ধ্যাতারা’র টুকে টিআরপি তোলার ধান্দা! শুরুর আগেই ট্রোলড জি এর ‘মিঠি ঝোরা’

একটা গল্প শেষ হয় আর সেই রেশ ধরেই শুরু হয় আরেকটা গল্প। নতুনদের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হয় পুরনোদেরই। এই অলিখিত নিয়ম বহু দিন ধরে চলে আসছে টেলি পাড়ায়। কিছুদিন আগেই আমরা জানিয়েছিলাম, একসঙ্গে দু দুটি সিরিয়াল (Television Serial) শেষ হচ্ছে জি বাংলায়। সেই সঙ্গে আবার শুরুও হচ্ছে দুটি সিরিয়াল। ‘গৌরী এলো’ এবং ‘খেলনা বাড়ি’ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পথচলা শুরু করছে ‘আলোর কোলে’ এবং ‘মিঠি ঝোরা’ (Mithi Jhora)। দুটি ধারাবাহিকেরই প্রোমো প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে জানা গিয়েছে সম্প্রচারের সময়ও। ‘মিঠি ঝোরা’ সিরিয়ালের হাত ধরেই আবারো চ্যানেলে ফিরছেন আরাত্রিকা মাইতি।

এই মুহূর্তে ‘খেলনা বাড়ি’ সিরিয়ালের মিতুল চরিত্রে দেখা যাচ্ছে আরাত্রিকাকে। তবে খুব শীঘ্রই গল্পে দাঁড়ি পড়তে চলেছে এই সিরিয়ালের। কিন্তু আরাত্রিকার ভক্তদের মন খারাপ করার কোনো কারণই নেই। কারণ একটা সিরিয়াল শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আরেকটি সিরিয়ালের মাধ্যমে জি তেই ফিরছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে বেশ অনেক দিন পর ফের চ্যানেলে কামব্যাক করতে চলেছেন দেবাদৃতা বসু, যাঁকে ‘জয়ী’ এবং ‘আলো’ নামে চেনেন সিরিয়ালপ্রেমীরা।

‘মিঠি ঝোরা’র প্রোমো থেকে জানা যায়। আরাত্রিকা এবং দেবাদৃতাকে দুই বোনের চরিত্রে দেখা যাবে সিরিয়ালে। আরাত্রিকা বড় বোন আর দেবাদৃতা ছোট। তাদের বাবা বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে আসে আরাত্রিকার। কিন্তু সুখবরের মধ্যেই হঠাৎ ঝড়ে ওলটপালট হয়ে যায় সবকিছু। হঠাৎ অসুস্থতা ধরা পড়ে তাদের বাবার। জানা যায়, তাঁর হাতে আর বেশি সময় নেই। পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নিতে তখন নিজের হবু স্বামীর হাতে বোন দেবাদৃতার হাত তুলে দেন আরাত্রিকা।

বোনদের নিয়ে গল্প নতুন নয়। এর আগেও জি বাংলায় বোনদের নিয়ে সিরিয়াল হয়েছে। কিন্তু এই প্রোমো দেখে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। অনেকেই দাবি করছেন, স্টার জলসার ‘সন্ধ্যাতারা’ সিরিয়ালের গল্পের নকল করা হয়েছে এই নতুন সিরিয়ালে। সন্ধ্যাতারা ধারাবাহিকে নিজের দিদি সন্ধ্যার জন্য নিজের প্রেমিককে ত্যাগ করে তারা। ‘মিঠি ঝোরা’র প্রোমো দেখে নেট নাগরিকদের অনেকেই ‘সন্ধ্যাতারা ২’ বলে কটাক্ষ করেছেন। খেলনা বাড়ি শেষ হলে আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ওই সাড়ে নটার স্লটটি দখল করবে এই নতুন সিরিয়াল।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই