বছরের শুরুতেই পদ্ম সম্মান প্রাপকদের তালিকা ঘোষণা করা হল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। আর প্রতিবারের মতো এ বছরও পদ্মভূষণ (Padmabhushan) এবং পদ্মশ্রী (Padmashri) পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় উজ্জ্বল কৃতিত্ব রইল বাঙালির। এ বছর সম্মানীয় পদ্মভূষণ পুরস্কার উঠল বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) হাতে। পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত হলেন খ্যাতনামা সঙ্গীতশিল্পী ঊষা উত্থুপও (Usha Uthup)। মরণোত্তর পদ্মভূষণ সম্মান পেলেন সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়।
এ বছর মোট ১১০ জনকে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় আট জন রয়েছেন বাংলা থেকে। পুরুলিয়ার আদিবাসী পরিবেশকর্মী দুখু মাজি, ছৌ নাচের মুখোশ শিল্পী নেপালচন্দ্র সূত্রধর পেয়েছেন পদ্মশ্রী সম্মান। বীরভূমের ভাদু গান শিল্পী রতন কাহার, কলকাতার মৃৎশিল্পী সনাতন রুদ্র পাল ছাড়াও বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিভাগে একলব্য শর্মা এবং নারায়ণ চক্রবর্তী পেয়েছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। শিল্পে পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছেন গীতা রায় বর্মণ এবং তাকদিরা বেগম।
এ বছর পদ্মবিভূষণ সম্মান পেয়েছেন বেঙ্কাইয়া নাইডু, দক্ষিণী সুপারস্টার চিরঞ্জিবী, তামিলনাড়ুর বিজয়িন্তীমালা বালি, তামিলনাড়ুর পদ্ম সুব্রহ্মনিয়ম এবং মরণোত্তর সম্মান পাচ্ছেন বিহারের সমাজকর্মী বিন্দেশ্বর পাঠক। বাংলার বাইরে পদ্মভূষণ সম্মান পেয়েছেন মহারাষ্ট্রের সাহিত্য সাংবাদিক হরমুসজি এন কামা, মহারাষ্ট্রের চিকিৎসক অশ্বিনী বালচাঁদ মেহতা, রাম নায়েক, দত্তত্রয় অম্বদাস মায়ালু, পেয়ারেলাল শর্মা, কুন্দন ব্যাস, কর্ণাটকের শিল্পপতি সীতারাম জিন্দল, গুজরাটের চিকিৎসক তেজস মধূসুদন পটেল, কেরলের ওলানচেরি রাজাগোপাল, বিহারের চন্দ্রেশ্বর প্রসাদ ঠাকুর।
এছাড়াও মরণোত্তর পদ্মভূষণ সম্মান পেয়েছেন কেরলের এম ফতিমা বিভী, লাদাখের তোগদান রিনপোচে এবং তামিলনাড়ুর বিজয়কান্ত। পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন তাইওয়ানের ইয়ুং লিউ। তিনি ফক্সকন সংস্থার সিইও। প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই একটি নির্দিষ্ট সময়ে পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের নামের তালিকা ঘোষণা করা হয় কেন্দ্রীয় সরকার এর তরফে। প্রতিবারই বাংলা থেকে পুরস্কার প্রাপকদের নাম থাকে তালিকায়। এ বছর দুই খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব মিঠুন চক্রবর্তী এবং ঊষা উত্থুপ পদ্মভূষণ পাওয়ায় খুশি গোটা বাংলা।