Mithun Chakraborty: বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেনকে কাছে পেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন মিঠুন চক্রবর্তী!
বাঙালি হয়েও বি-টাউনে গিয়ে কালজয়ী অভিনেতা হওয়ার সূত্রটা বোধহয় মিঠুন চক্রবর্তীই (Mithun Chakraborty) শিখিয়েছিলেন সকলকে। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে এক মহান ব্যক্তিত্ব তিনি। তার বহুমুখী প্রতিভা রয়েছে, একাধারে তিনি অভিনেতা, গায়ক, প্রযোজক, লেখক; অন্যদিকে তিনি এক সাবেক সংসদ। পরিচালক মৃণাল সেনের পরিচালনায় ‘মৃগয়া’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সিনেমা জগতে প্রবেশ করেন। অসামান্য অভিনয় নৈপুণ্যের জন্য এ ছবির মাধ্যমে তিনি সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। চক্রবর্তী ১৯৮২ সালে ‘ডিস্কো ডান্সার’ ছবিতে জিমি’র ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, যা ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ও রাশিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছিল।
তবে তার এই সফলতার পিছনেও রয়ে গেছে কিছু কিছু না জানা কথা ও ঘটনা। আর এই কালজয়ী অভিনেতা, যিনি একাধিক ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন, তিনিও নাকি বিশ্বসুন্দরীকে কাছে পেয়ে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন। ঘটনাটি ২০০৬ সালের। সেই সময় মিঠুন চক্রবর্তী এবং মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেন (Susmita Sen) ‘চিঙ্গারি’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন। আর এই ছবির শুটিং শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিঠুন ও সুস্মিতার মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। অনেকের মতে, ‘চিঙ্গারি’ ছবির শুটিং চলাকালীন মিঠুন ও সুস্মিতা একে অপরকে দেখতেও পছন্দ করেননি। কারণ তারা সেই সময় একে অপরকে তেমন পছন্দ করতেন না। আর এই ছবির শুটিংয়ের সময়ই ঘটে এই ঘটনা।
এই ছবিতে এই দুজনের একটি খুব সাহসী দৃশ্যের শুটিং হওয়ার কথা ছিল। আর শুধুমাত্র গল্পের চাহিদার কারণে, সুস্মিতা না চাইতেও এতে সম্মতি দিয়েছিলেন। এই দৃশ্যটি ছিল একটি ধর্ষণের দৃশ্য। জানা যায়, এই দৃশ্যটি বহু প্রচেষ্টার পরেই শ্যুট করা হয়েছে। তবে এই ধর্ষণের দৃশ্যের ফাইনাল টেক নেওয়ার সময় আচমকাই সেট থেকে উঠে পড়েন অভিনেত্রী। ফিনি অভিযোগ করেছিলেন যে অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিং চলাকালীন, মিঠুন চক্রবর্তী অনিয়ন্ত্রিত হয়েছিলেন এবং তাকে গোপন সব স্থানে হাত দিয়ে অনুপযুক্তভাবে স্পর্শ করেছিলেন।
শেষমেষ অভিনেত্রী নাকি ছবিটির পরিচালক কল্পনা লাজমির কাছেও এই বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু কিছুই হয়নি। বরং পরিচালক তাকে বলেছিলেন যে মিঠুন একজন খুব সিনিয়র অভিনেতা এবং তিনি অবশ্যই এটি অজান্তেই করেছেন। এর পরেই পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আনেন অভিনেত্রী। আর এই বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পরে মিঠুন খুব বিরক্ত হয়েছিলেন। তারপরে সুস্মিতা তার ভুল বুঝতে পেরে সম্মত হন যে তার এমন কাজ করা উচিত হয়নি।