‘প্রজাপতি’-র উড়ান শুরু হয়েছিল বিতর্ক দিয়ে। কে জানে! হয়তো বা ‘প্রজাপতি’ নামের সাথেই জড়িয়ে আছে বিতর্ক। বহু বছর আগে সমরেশ বসু (Samaresh Basu)-র বিখ্যাত উপন্যাস ‘প্রজাপতি’-ও কাকতালীয় ভাবে এক শ্রেণীর মানুষের কাছে অশ্লীলতার দায়ে ব্যান হওয়ার পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। তবে দেব (Dev) প্রযোজিত ফিল্ম ‘প্রজাপতি’ এই উপন্যাস অবলম্বনে নয়। পিতা-পুত্রের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে তৈরি এই মিষ্টি ফিল্মটি নন্দনে শো পায়নি। এই ঘটনায় দেব টুইট করে শুধুমাত্র লিখেছিলেন, নন্দনকে তিনি মিস করবেন। কিন্তু কোনো বিতর্ক চাননি দেব। তিনি লিখেছিলেন, গল্প এখানেই শেষ। কিন্তু শেষই হয়েছিল এক নতুন শুরু। নন্দনে ‘প্রজাপতি’-র স্থান না হওয়ায় রীতিমত সমালোচিত হয়েছে শাসকদল। অপরদিকে গত 30 শে ডিসেম্বর ভারত জুড়ে ‘প্রজাপতি’ মেলেছে তার ডানা। সমগ্র ভারতবর্ষে এই ফিল্ম রিলিজ করতেই প্রশংসিত হয়েছে। এত বিতর্ক, এত প্রশংসা, মিডিয়া জুড়ে শুধুই ‘প্রজাপতি’-র ছেয়ে যাওয়া, এমনকি ফিল্মের প্রচার, প্রিমিয়ার কোথাও একবারের জন্য দেখা মেলেনি ‘প্রজাপতি’-র মুখ্য অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)-র। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ‘প্রজাপতি’-র সাকসেস পার্টিতে এলেন মিঠুন। এতদিনে এই ফিল্ম নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।
View this post on Instagram
‘প্রজাপতি’ সন্ধ্যায় মিঠুন মজা করে বলেই দিলেন, তাঁরা সকলে খুব ফ্লপ একটি ফিল্মের পার্টিতে উপস্থিত হয়েছেন। নন্দনে ‘প্রজাপতি’-র শো না পাওয়ার প্রসঙ্গে মিঠুন মনে করেন, তাঁর কাছে বাংলার সব প্রেক্ষাগৃহ নন্দনের সমতুল্য। বাংলার মানুষ এই ফিল্মকে ভালোবেসে জিতিয়ে দিয়েছেন। তবে পাশাপাশি মিঠুন বললেন, শাসকদলের তরফে দেবকে ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ভয় পাননি। কিন্তু নন্দনের মতো সরকারি প্রেক্ষাগৃহে অভিনেতা ও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দেব প্রযোজিত ফিল্ম ‘প্রজাপতি’-র ঠাঁই না হওয়ার ঘটনা মিঠুনকে অশনি সংকেতের আভাস দিয়েছে।
View this post on Instagram
তিনি জানতে চান, নন্দনের কমিটিতে কাদের নাম রয়েছে! এরপর এই প্রসঙ্গে তিনি নিজের মতামত পেশ করবেন বলে জানালেন মিঠুন। ‘প্রজাপতি’ দেখেছেন প্রযোজক-পরিচালক মহেশ ভাট (Mahesh Bhatt)-ও। মিঠুন জানালেন, মহেশ মিঠুনকে ফোন করে বলেছেন, তিনি দেশের অন্যতম সেরা অভিনেতা। কিন্তু মহেশের মতো পোড়খাওয়া মানুষের মুখে এই কথা শুনে মিঠুন অবশ্য তাঁর লাজুক স্বভাবই প্রকাশ করেছেন। ‘প্রজাপতি’ দেখেছেন যোগিতা বালি (Yogita Bali)-ও। মিঠুন জানালেন, ফিল্মটি দেখতে দেখতে কেঁদে ফেলেছিলেন তাঁর স্ত্রী। যোগিতা বলেছেন, মিঠুন তাঁর স্বামী, এই কথা ভেবে তিনি গর্ব বোধ করেন। ‘প্রজাপতি’ পছন্দ হয়েছে মিঠুনের বড় ছেলে মিমো (Mimo Chakraborty)-রও।
মিঠুন স্পষ্ট করে দিলেন, তাঁর টিআরপি বর্তমানেও যথেষ্ট। ফলে সারা বছরই কাজ পেতে পারেন তিনি। কিন্তু চিত্রনাট্য পছন্দ না হলে কাজ করতে রাজি নন মিঠুন।
View this post on Instagram