ভারতের স্বাধীনতা বড্ড রক্তঝরা। প্রত্যেক পনেরই অগস্ট বারবার মনে করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যেও এমন অনেকেই আছেন যাঁদের নাম না জানলেও দেশমাতৃকার জন্য নিজেদের অনায়াসেই তাঁরা বলিদান দিয়েছেন। এবার তা উঠে এল ওয়েব সিরিজের আকারে। ওয়েব সিরিজের নাম ‘মুক্তি’।
‘মুক্তি’-র প্রেক্ষাপট 1931 -এর সেই অস্থির সময়, যখন একের পর এক বিপ্লবী কারারুদ্ধ হচ্ছেন। তাঁদের উপর চলছে অমানবিক অত্যাচার। ভারতীয় বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে ভারতীয় পুলিশ অফিসারদের। তাঁদের দেখানো হচ্ছে পদোন্নতির লোভ। সেই সময় কারাধ্যক্ষ রামকিঙ্করের সিদ্ধান্ত ফেলল আলোড়ন। তিনি চাইলেন একটি ফুটবল ম্যাচ। সাহেবদের বিরুদ্ধে বিপ্লবীদের ফুটবল ম্যাচ। এই ম্যাচে জিতলে হবে জেলমুক্তি।
ইংরেজদের অধীনে কাজ করলেও রামকিঙ্কর মনে-প্রাণে দেশপ্রেমিক। মেদিনীপুরের জেল সুপার হয়ে আসা রামকিঙ্করের স্ত্রী তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, স্বাধীনতা কি খারাপ নাকি যে ছেলেটা দেশের হয়ে ভাবছে সেটা দোষের! উত্তর দিতে পারবেন কি রামকিঙ্কর? সবকিছুর রূপরেখা নিয়ে 26 শে জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে আসছে ‘মুক্তি। রামকিঙ্করের চরিত্রে অভিনয় করছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwik Chakraborty)। তাঁর স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy)। বিপ্লবীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন অর্জুন চক্রবর্তী (Arjun Chakraborty)। এছাড়াও এই ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন চান্দ্রেয়ী ঘোষ (Chandrayee Ghosh), চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী (Chitrangada Chakraborty), সুদীপ সরকার (Sudip Sarkar) প্রমুখ। ‘মুক্তি’ পরিচালনা করেছেন রোহন ঘোষ (Rohan Ghosh)। ফ্যাটফিশের প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘মুক্তি’।
‘মুক্তি’ নিয়ে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত দিতিপ্রিয়া জানালেন ওয়েব সিরিজে ঋত্বিক ও দেশপ্রেম যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। কাহিনী 1931 সালের হলেও দিতিপ্রিয়ার চরিত্র যথেষ্ট আধুনিক। ফলে তাঁর হাঁটা-চলা, কথা বলায় তা ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। অর্জুন মনে করেন, 26 শে জানুয়ারি ‘মুক্তি’-র মুক্তি একদম সঠিক সিদ্ধান্ত।