সুশান্তের আগেও রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে যেসব তারকার
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মনে করা হলেও সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে প্রথম থেকেই খুন বলে দাবি করা হয়। বর্তমানে সিবিআই তদন্তে উঠে আসছে অজস্র চাঞ্চল্যকর তথ্য। শেষ পর্যন্ত সুশান্তের মৃত্যু রহস্যের পর্দা ফাঁস হবে কি না তা ভবিষ্যৎ বলবে। তবে এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দেখে নেব বলিউডে এর আগে কোন কোনো প্রভাবশালী তারকার এমন রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে, যার সুষ্ঠু মীমাংসা হয় নি আজও।
দিব্যা ভারতী: সাধারণত বলিউডের কিছু অভিনেত্রীর মর্মান্তিক রহস্য মৃত্যু লক্ষ্যনীয়। প্রথমেই আসেন অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী। নিজের এপার্টমেন্টের ৫ তলা থেকে পড়ে মাথায় চোট পেয়ে মৃত্যু হয় অভিনেত্রীর। মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হলেও মনে করা হয় ব্যালকনিতে হাঁটার সময় অসতর্ক ভাবে পড়ে যান তিনি।
সিল্ক স্মিতা: জনপ্রিয় দক্ষিণী অভিনেত্রী সিল্ক স্মিতা তাঁর এক বন্ধুকে বাড়িতে ডাকেন বিশেষ আলোচনার জন্য। কিন্তু বন্ধু গিয়ে তাঁকে শাড়িতে ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখেন। পরে পোস্টমর্টেমে অভিনেত্রীর শরীরে প্রচুর এলকোহল পাওয়া যায়। এখানেও আত্মহত্যার কোনো স্পষ্ট কারণ মেলেনি।
পারভীন ববি: ২০০৫ সালে ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় অভিনেত্রী পারভীন ববিকে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভুগে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। পারভীন ববির সঙ্গে কবির বেদী, মহেশ ভাটের মত প্রভাবশালীর সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক গুলিতে থাকাকালীনই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়তে থাকেন অভিনেত্রী বলে জানা যায়।
জিয়া খান: ২০১৩ সালে আত্মহত্যা করেন জিয়া খান। সুইসাইড নোটে তিনি লেখেন তাঁকে মানসিক ভাবে শেষ করে দেওয়া হয়েছিল। মৃত্যুর জন্য সুরজ পাঞ্চলীকে গ্রেফতার করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রত্যুষা ব্যানার্জি: বালিক বধূখ্যাত প্রত্যুষা ব্যানার্জিকে আকস্মিক ভাবেই তাঁর গুরগাঁওয়ের ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মেলে। প্রত্যুষার আত্মহত্যার জন্য তাঁর প্রেমিক রাহুল রাজ সিংকে দায়ী মনে করা হলেও তাকে গ্রেফতার করা হয় নি শেষ পর্যন্ত।
শ্রীদেবী: ২০১৮ সালে দুবাইতে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় অভিনেত্রী শ্রী দেবীর। প্রথমে হার্ট এটাকে মৃত্যু হয়েছে বলা হলেও পরে জানা যায় হোটেলের বাথ টাবে জ্ঞান হারানোর ফলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর
মৃত্যুগুলির প্রত্যেকটি নিয়েই হইচই হয়। কোনোটিকেই স্বাভাবিক বলে মনে করা হয় নি। পুলিশি তদন্ত হলেও এখনো কোনোটিরই মীমাংসা হয় নি। প্রাথমিক ভাবে ঘোষিত মৃত্যুর কারণগুলিই বহাল রয়েছে।