চরম বিপদে নিষ্ঠাভরে পূজা করুন মা শীতলার, কেটে যাবে দুঃসময় মায়ের কৃপায়
মা শীতলা হলো হিন্দু দেব দেবীদের মধ্যে এক অন্যতম দেবী। ইনি ভারতীয় উপমহাদেশে বিশেষত উত্তর ভারত পশ্চিমবঙ্গ, নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের বহু ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা তিনি পূজিত হন। আদ্যা শক্তি দেবী দুর্গার অবতার হিসেবে তিনি পূজিত হন। শরীরে পক্স, ফুসকুড়ি, ব্রণ ইত্যাদি রোগ নিরাময় করেন মা শীতলা।
গ্রাম বাংলায় বসন্ত রোগ হলে সেখানকার মানুষ মা শীতলার শরণাপন্ন হন। তারা শীতলা দেবীর আরাধনা করেন। মাঘ মাসের ষষ্ঠ দিনে দেবী শীতলার পুজো করা হয়। শীতলা দেবীর বাহন গাধা। প্রচলিত মূর্তিতে শীতলা দেবীর একহাতে জলের কলসি এবং অন্য হাতের ঝাড়ু দেখতে পাওয়া যায়। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এই ঝাড়ু দিয়েই মা শীতলা বসন্ত রোগের বিনাশ করে।
হিন্দু, বৌদ্ধ ও উপজাতি সম্প্রদায় তার উপাসনা করা হয়। তান্ত্রিক ও পুরাণ সাহিত্যে তার উল্লেখ পাওয়া যায়। শীতলা উত্তর ভারতের কিছু কিছু অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয়। তবে শুধুমাত্র উত্তর ভারতে নয়, দক্ষিণ ভারতের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। দ্রাবিড় ভাষাভাষী লোকেরা শীতলা মায়ের উপাসনা করেন। হরিয়ানা রাজ্যের গুরগাঁও এসে তাকে ‘কৃপী’ বলে মনে করা হয়। গুরগাঁও তে শীতলা মায়ের মন্দির রয়েছে।
শীতলা পূজায় ব্রাহ্মণ ও পূজারী উভয়ই পরিচালনা করেন। শীত-বসন্তের শুকনো মরসুমে ‘শীতলা অষ্টমী’ নামে খ্যাত। এই দিনটিতে প্রধানত তার পুজো করা হয়। হুগলী জেলার খানাকুল থানার রঞ্জিত বাটি কেটেদল গ্রামের শীতলা ও মনসা মাতা মন্দির পূজা প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো। নিম্নবর্ণের হিন্দু এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে ওনাকে পাথরে খোদাই করা একটি মাথার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।