সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন জনপ্রিয়তা পাওয়া কঠিন নয়। তবে সেই খ্যাতিকে কাজে লাগিয়ে সাফল্যের সিঁড়িতে ওঠা সহজ নয়। সেটাই করে দেখিয়েছেন নন্দিনীদি (Nandini Didi)। তাঁর আসল নাম মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। ডালহৌসি চত্বরে এক চিলতে ভাতের হোটেল ছিল তাঁর। বাবার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেই হোটেলে কাজ করতেন নন্দিনী। একদিন একটি ইউটিউব ভিডিওর দৌলতেই রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যান তিনি। জিন্স, টপ পরা, গলায় ব্লুটুথ হেডফোন ঝোলানো নন্দিনী ‘স্মার্ট দিদি’ হিসেবে জনপ্রিয়তা পান। অচিরেই সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন হয়ে ওঠেন তিনি।
ডালহৌসিতে তাঁর ছোট্ট দোকানে ভিড় উপচে পড়ে তার পর থেকেই। কেউ আসেন নন্দিনীর রান্না খেয়ে দেখার জন্য, কেউ আবার শুধুই তাঁকে নিজের ভিডিওতে রেখে ভিউ বাড়াতে তৎপর। এর কারণে ট্রোলিংও কম হয় না নন্দিনীকে নিয়ে। তাঁর নানান কাণ্ডকারখানা ইউটিউব ভিডিওর দৌলতে উঠে আসে চর্চায়। সমালোচনা, ঠাট্টা চলতেই থাকে নন্দিনীদিকে নিয়ে। সম্প্রতি ডালহৌসির দোকান ছাড়াও নিউটাউনে আরো একটি দোকান খুলেছেন তিনি। নাম দিয়েছেন ‘নন্দিনীদির হেঁশেল’।
ডালহৌসির দোকানের মতো এখানে ত্রিপল নয়, মাথার উপরে রয়েছে পাকাপোক্ত ছাদ। কিন্তু পেশাগত জীবনে সফল হলেও ট্রোলিং থেকে এখনো রেহাই পাননি নন্দিনী। এবার তিনি এমন একটি রিল ভিডিও শেয়ার করলেন যেটি দেখে নেটিজেনদের একাংশ মনে করছে, ট্রোলারদেরই জবাব দিয়েছেন তিনি। সেখানে একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আমি কষ্টকে হাসি মুখে সহ্য করতে শিখে গিয়েছি, তাই মানুষ ভাবে আমার খারাপ লাগে না। খুব কষ্ট হয়। কিন্তু যাদের যাদের এখনো পর্যন্ত বলেছি, সকলে আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করেছে’।
তবে ট্রোলের জন্য কিন্তু নন্দিনী দিদি থেমে নেই। নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল আগেই খুলেছিলেন নন্দিনী। ইতিমধ্যেই ৪০ হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে গিয়েছে তাঁর। চ্যানেলে ট্রাভেল ভ্লগ থেকে ফুড ভ্লগ উপলব্ধ রয়েছে সবই। পাশাপাশি অভিনয়েও ডেবিউ করে ফেলেছেন তিনি। ‘তিন সত্যি’ নামে একটি ছবিতে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয় করেছেন নন্দিনী দিদি।একটি মিউজিক ভিডিওতেও অভিনয় করে ফেলেছেন তিনি।
View this post on Instagram