Shower in Winter: শীতকালে নিয়মিত স্নান কি সত্যিই জরুরি! কি বলছেন চিকিৎসকরা?
শীত শহরে গুটি গুটি পায়ে এসে গিয়েছে। ডিসেম্বর যত গভীর হবে শীতও তত বেশি জমে উঠবে। এই শীতের অপেক্ষায় থাকে গোটা বাংলা। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে শীত যেন পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা। প্রায় প্রতি বছর নৈব নৈব চ্ করে শীত আসে। শুরু হয় ফুলকপি, কড়াইশুটি, কমলা লেবু, নলেন গুড়ের পায়েস, পিঠে খাওয়ায় উৎসব। তাই শীতের আগমন সকলের কাছেই আনন্দের। ভুরিভোজ এই সময় যথাযথ হয়। তাছাড়া, এই সময় বিয়ে বাড়ির বাড়বাড়ন্ত থাকে। অর্থাৎ কব্জি ডুবিয়ে পোলাও, মাংস, রাবড়ি খাওয়ার ভরপেট প্ল্যান কার্যকর হয়। কিন্তু, সকলের জন্য শীত কাল কি আরামদায়ক?
যারা স্কুল বা কলেজ স্টুডেন্ট তাদের বেশিরভাগ বলবে শীত কালের থেকে গরম কাল ভালো। কারণ, শীতে বিছানা ছাড়তে সমস্যা, তাছাড়া স্নান একটা কঠিন কাজ। সকাল সকাল স্নান করে ট্রেনে বা গাড়ি করে স্কুল কলেজ এক্কেবারে না পসন্দ বেশিরভাগ বাচ্চার। তাহলে কি শীত কালে রোজ স্নান করা উচিত নাকি উচিত না? কী বলছে রিসার্চ?
এক্ষেত্রে প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে স্নান কথার অর্থ হল নিজেকে শান্ত করা। স্নানের পর শরীর ও মন দুই শান্ত হয়। পেট গরম হয় না। স্নানের পর বিভিন্ন প্রসাধনী মাখা যায়, এমনকি স্নানের পর সেই চরম ঠান্ডা অনুভব হয় না। কিন্তু, এইসব কিছুই আপনি জানেন এর পরেও স্নান নিয়মিত হয়ে ওঠে না। এতে কি কোনো বিপদ হতে পারে?
এর উত্তর ‘না’। নিয়মিত ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান (শীত কালে) না করাই ভালো, এমনটাই বলছেন খোদ চিকিৎসকরা। সামান্য উষ্ণ গরম জল শরীরের জন্য আরামদায়ক। যাদের বাতের ব্যথা রয়েছে তাদের জন্য শীত কাল ও ঠান্ডা জল বিষ। তাই চেষ্টা করুন হালকা গরম জলে নিয়মিত স্নান করতে। এতে শরীরের মৃত কোষ ধুয়ে যায়, পরিচ্ছন্নতা ধরে থাকে এবং গায়ের কোনো গন্ধ থাকে না। যদি সর্দি কাশি হয়ে থাকে তবে একদিন স্নান না করলেও কোনো ক্ষতি নেই। এক্ষেত্রে ভেজা গামছা দিয়ে গা মুছে নিলেও স্নানের কাজ হয়। তাহলে, একদিন স্নানকে বাই বাই বলতেই পারেন, কিন্তু এক দিন যেন দুদিন না হয়, এতে করে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে এবং পেটে গ্যাসের উদ্ভব হতে পারে।