নীল -তৃণা নাকি নিখিল গুনগুন কোন নামটা পছন্দ আপনার? অবশ্য এরা একসাথে দুজনে কোনোদিন অভিনয় করেননি। আলাদা আলাদা ধারাবাহিকে অভিনয় করলেও নিজেদের অভিনয়ের জন্য দর্শকদের জন্য খুব প্রিয়। আর নিজেদের প্রেমের জন্য বিখ্যাত এই জুটি। টলিপাড়ায় এরা হেভি ওয়েট কাপল। একসাথে অভিনয় না করলেও ছোট থেকে একে অপরকে চেনে। এরা প্রথমে ভালো বন্ধু। তারপর প্রেমিক- প্রেমিকা। নিজেদের প্রেমের জন্য এরা টলিপাড়ার সেরা জুটি বললে কিছু কম নয়। আপাতত নিখিল নিজের ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলিতে শ্যামার দুঃখে বুড়ো হয়ে গেছে তাও শ্যামাকে ভুলতে পারেনি। অন্যদিকে তৃণা ওরফে গুনগুন আর সৌজন্যের বিয়েতে চলছে জোড়কদমে প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে সঙ্গীতের অনুষ্ঠান।
এর মধ্যে নীল তৃণা নিজেদের প্রেমের গল্প শোনালেন একটি সংবাদমাধ্যমে। আজ তাদের প্রেমের ১০ বছর পূরণ হল। আর তাতেই নিজেদের প্রেমের স্মৃতির পাতা ওল্টালেন নীল তৃণা। প্রথমেই এদের জিজ্ঞাসা করা হয় প্রথম কবে দেখা? উত্তরে নীল জানায়,সাল ২০১১। তখন তিনি এম.বি.এ ‘র প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেই সময় দু এমবিএ প্রবেশের পরীক্ষার জন্য ক্যাট ক্লাস করার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে একদিন অঙ্কের ক্লাস চলছিল আর তখনই ক্লাসে লেট করে আসে একটি মেয়ে। সে আর কেউ না আজকের গুনগুন। সেদিন তৃণা একটি উজ্জ্বল হলুদ পোশাক পরেছিলেন আর সেই মুহূর্তে সিনেমার মতো তৃণাও নীলের জীবন একমুহূর্তে বদলে দেন। সেই দিনটিকে থেকে নীল একটি নাম দেয় ‘উজ্জ্বল সানি দিবস’ এবং ১০ বছর পরে, এখনও তিনি এই দিনটি মনে করে হাসেন।
অবশ্য তৃণা অন্য কিছু বললো। তৃণা জানায় প্রথম দিন তিনি নীলকে লক্ষ করেননি। অনেক সপ্তাহ পর যখন তৃণার বন্ধুরা ক্লাসে উপস্থিত ছিলেননা তখন তিনি নীলের হাসি মুখ দেখেছিলেন। তারপর শুরু হয় প্রথম বন্ধুত্ব। তারপর তৃণা জানায় ২০১১ সালের ফ্রেন্ডশিপ ডে থেকে ডেট করা শুরু করেন। কিন্তু সেই বছর ২০১১,সালের অক্টোবর মাস থেকে এই দম্পতির বিচ্ছেদ হয়। পড়াশোনা আর কেরিয়ারের জন্য তৃণা দিল্লী ও নীল কলকাতায় থাকে। তারপর ছিলনা এদের কোনো যোগাযোগ কিন্তু মনে মনে ছিল ভালোবাসা। ২০১৫ সালে তৃণা ফিরে আসেন কলকাতা তারপর নীলের সাথে আবার দেখা, তারপর বন্ধুত্ব। শেষে ২০১৬ সালে ৮ জুন তৃণা নীলের জন্মদিনেই বলে দেয়,”নীল আমি তোমাকে ভালোবাসি আর তুমি আমার ব্যাপারে কি ভাবো?”। সেদিন নীল চুপ থাকে কিছু বলেনি, তৃণার জন্মদিম ২০১৭ সালে ২১ জানুয়ারি তৃণার সব বন্ধুদের সামনে প্রপোজ করেন, বলেন “আমি তোমাকে ভালোবাসি” আর তৃণাও এক সেকেন্ডে হ্যা বলে দেয়। সেই দিন থেকে এদের অফিসিয়ালি প্রেম পর্ব শুরু হয়।
অনেকদিন হল প্রেম,খুনসুটি,ঝগড়া,মারপিট। এবার নিজেদের সম্পর্ক এগিয়ে যাওয়ার পালা। এবার এরা নিজেদের সম্পর্কে শিলমোহর দিতে রাজী। এক রবিবার সকালে নীল তৃণাকে ক্রিং ক্রিং করে ভিডিয়ো কল করলেন,আর তৃণাকে বললেব,”‘আমরা কি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে পিঁড়িতে বসতে পারি?’ তৃণা উত্তরে হ্যা বললেন। সামনের ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারীর ৪ তারিখে বাড়ির পরিবারের সম্মতিতে আর উপস্থিতিতে কলকাতার সিটি ক্লাবে বিয়ের সানাই বাজবে। আর ১৪ ফেব্রুয়ারিতে ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে নিজেদের রিসেপশান সাড়বে। তৃণা খুব আনন্দিত এবং অপেক্ষা করছে নিজের বিয়েতে বাঙালি নববধূ সাজার অপেক্ষায়। বিয়ের পর স্বপ্নের হানিমুন গ্রীসে পাড়ি দেবেন এই সেলেব জুটি। এখন শুধুই দিন গোনা। এই খবরে উচ্ছ্বসিত নীল তৃণার ফ্যানেরা।
View this post on Instagram
