১০ বছরের প্রেমের পরিণতি! নীল-তৃণার সিদুঁরদানের ভিডিও তুমুল ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
দীর্ঘ ১০ বছরের প্রেমের পরিণতি। এই পরিণতির কথা আমরা সিনেমার গল্পে বা বইয়ের পাতায় পড়েছি। বাস্তবে এই পরিণতি দেখা যায়। এই গল্প নীল তৃণার গল্প। কলেজ জীবনের প্রেম অবশেষে রুপকথার মতো পরিণতি পেল গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারিতে। শুক্রবার সন্ধ্যাতে জমকালো বিবাহ আসর বসেছিল দক্ষিণ কলকাতার তপসিয়ার আর্কিড ভবনে। এই দিন টেলিভিশনের জনপ্রিয় ও সকলের প্রিয় জুটি নীল ভট্টাচার্য ও তৃণা সাহা সারাজীবনের জন্য গাঁটছড়া বাঁধলেন।
বিয়ের আসর অর্থাৎ বিয়ের মন্ডপ সজ্জিত হয়েছিল রাজকীয় ভাবে। ফুলের সাজে সাজিয়ে তোলা হয়েছে বিবাহের স্থানটি। সনাতন রীতি অনুসারে বৈদিক মন্ত্রধ্বনি উচ্চারণ, অগ্নিসাক্ষী রেখে মেনেই বাঙালি নিয়মরীতিতেই সাতপাকে বাঁধা পড়লেন এই মিষ্টি জুটি। বিয়ের দিন নীল তৃণা সাবেকিয়ানার সাজকেই বেছে নিয়েছিলেন। তৃণা এই দিন লাল টুকটুকে বেনারসি, মাথায় মুকুট আর সোনার গহনাতে সাজলেন। আর নিখিল জীবনের এই বিশেষ দিনে ধুতি পাঞ্জাবি আর মাথায় টোপর পড়ে সিনেমার হিরোর মতো নিজের দুলানিয়াকে নিতে নৌকা করে ব্যান্ড পার্টির সাথে নাচতে নাচতে বিয়ের জন্য গন্তব্যস্থলে। সায়েন্স সিটির কাছে বিলাসবহুল ব্যানকোয়েটেউতে পৌছালেন।
View this post on Instagram
বিয়ের আসরে উপস্থিত ছিলেন টেলি পাড়ার তাবড় তাবড় উজ্জ্বল তারকারা। আর এই সারি সারি তারকাদের পাশাপাশি বিয়েতে নতুন বর বৌকে আশীর্বাদ করতে হাজির হয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ পেয়ে শুরু হয় বিয়ের আচার নিয়ম। তৃণা অভিনয়ের জন্য আগে ও রিলে অনেকবার বিয়ে করতে বসলেও আসল জীবনে নিজের বিয়েতে বেশ লাজুক হয়ে পড়েছিলেন। নীল তৃণার শুভদৃষ্টির সময় বেশ লজ্জায় রাঙা হয়ে উঠেছিলেন তৃণা।
বিয়ের অন্তিম পর্ব নীলের হাতে সিঁদুর সিঁথিতে উঠতেই হাসিমুখেই দেখা গিয়েছে নববধূ তৃণাকে। সিঁদুর দানের পরই নিয়ম মতো লজ্জাবস্ত্র দিয়ে মুখ ঢাকা হয় তৃণার। আবার এই সময় একটা মজার ঘটনা ঘটে। কপালে সিঁদুর ঠেকাতেই বন্ধুরা পাশ থেকে রব তোলেন ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’। যা পুরো বিবাহআসর গমগম করে রেখেছিল। মুহূর্তের মধ্যে নীল-তৃণার ১০ বছরের প্রেমের সাফল্য পায় এই সিঁদুরদানের মাধ্যমে। নিমেষে এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।