‘স্বামীর পদবী’ রাখা ও ব্যাবহার নিয়ে ভারতে এক দারুন চল রয়েছে। বিয়ের পর অধিকাংশ মেয়েরাই তাদের পিতার পদবী ত্যাগ করে স্বামীর পদবী জুড়ে দেন। কেউ কেউ উভয়ের পদবী একসঙ্গে ব্যাবহার করেন। সেইরকম, বলিউডে দেশি গার্ল প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বিয়ে করেন মার্কিন মুলুকে এবং বিদেশি স্বামীর পদবী জুড়ে দিয়েছিলেন বাবার পদবীর সঙ্গে। হয়ে উঠেছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস।
হায় কপাল! এখন সেই পদবী উধাও। প্রিয়াঙ্কা মুছে ফেলেছেন স্বামীর জোনাস পদবী। এই পদবী ছিল একটা সময় স্বীকৃতি। আজ থেকে ৩০/৩৫ বছর আগেও রেজিস্ট্রি ম্যারেজের চল ছিল না বললেই চলে। সামাজিক বিয়ে এবং সিঁদুর দান হয়ে গেল মানেই সে অন্য গোত্রের এবং অন্য পরিবারের। স্বামী অন্ন বস্ত্রের দ্বায়িত্ব নেয় সেই মেয়ের এবং নিজের পদবী ব্যবহারের অধিকার দেন।
সময় বদলেছে। আজ আর স্বামীর পদবী লাগে না। ইচ্ছে হলে ব্যাবহার না হলে পূর্বের নাম পদবী গ্রহণযোগ্য যেকোনো স্থানে। তাছাড়া যেভাবে দিনে দিনে বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়ছে, তাতে করে কতবার একটি মেয়ে পদবী পরিবর্তন করবে? তাই ভালো উপায় হল স্বামীর পদবী গ্রহণ না করা। সম্পর্ক মনে থাকা বিশেষ জরূরী পদবীর থেকে। কিন্তু, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ক্ষেত্রেও কি একই ব্যাপার? নাকি তিনি ডিভোর্সের পথে হাঁটছেন? অভিনেত্রীর থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে তাঁর মা মধু চোপড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, ‘এটা একদম বাজে কথা, এইসব গুজব ছড়াবেন না’।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন নিক প্রিয়াঙ্কা। রাজস্থানে বিয়ের অনুষ্ঠান হলেও বিয়ের পর থেকে মার্কিন মুলুকের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা ও নিক। সম্প্রতি, দুজন নিজেদের নতুন বাড়িও কিনেছেন। সেখানেই উদযাপন করেন দীপাবলির অনুষ্ঠান। দীপাবলির দিন স্বামী নিককে নিয়ে ঐতিহ্যবাহী সাজে প্রিয়াঙ্কাকে দেখা গিয়েছিল বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় অংশ নিতে। এখনও দুজন দুজনকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করেন। আদুরে পোস্ট করেন, শুধু পদবী গোল বেধেছে।