North Bengal: দার্জিলিং এ আবারও ধস, পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর, এখন পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া কি অনিশ্চিত!
বেড়াতে যাওয়ার জায়গা মানেই প্রথমেই যে নামটা আসে সেটি হল দার্জিলিং, যারা পাহাড় ভালোবাসেন, তারা দার্জিলিং বেড়াতে যাননি এমনটা কিন্তু হয় না। দার্জিলিং বা উত্তরবঙ্গ বেড়াতে যাওয়া কতটা নিরাপদ এখন? কারণ প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও উত্তরবঙ্গে ধস নেমে পড়ছে, অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্যই এমনটা হচ্ছে। আমরা কিছুদিন আগেই দেখেছি যে পর্যটকরা সেখানে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন, কি পরিস্থিতির মধ্যে তারা ছিলেন, আমরা সকলেই জানি। পর্যটকরা কতটা নিরাপদ?
মেঘলা আকাশে বুধবার সকাল থেকেই জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হয়েছে, বিক্ষিপ্তভাবে এই বৃষ্টির সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতেই হয়েছে। সোমবার রাত ভোর এই অবিরাম বৃষ্টি হয়েছে, বৃষ্টিপাতের পরিমাণও প্রায় ১৬৬.৫ মিলিমিটার। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় জল জমে গেছে।
অন্যদিকে বেলা যত গড়িয়েছে, ততই জল নেমেছে এবং এই বিপুল পরিমাণ জলরাশি গিয়ে পড়েছে করলা নদীতে। নদীতেও ক্রমাগত জল বাড়তে থাকে, আর জল বেড়ে গিয়ে নদী তীরের বিভিন্ন জেলাকে জলমগ্ন হয়ে যায়। যার জন্য এলাকার বিভিন্ন বাড়ি ডুবে গেছে এবং এর জন্য বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় কিংবা ফ্লাড শেলটারে আসা শুরু করেছেন অনেকেই।
ভারী বৃষ্টির জন্য ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধ্বস নেমেছে যার জন্য কয়েক ঘন্টার জন্য রাস্তা বন্ধ ছিল, কালোঝোরার এনএইচপিসি বাংলো সংলগ্ন এলাকার ওপরে বড় গাছ পড়ে যায়। তিস্তা বাজার থেকে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য যে রাস্তা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, পরে তা ঠিক করে আবারও যান চলাচলের উপযুক্ত করে দেওয়া হয়। ক্রমাগত তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তাবাজার সংলগ্ন ডেওগ্রাম এলাকাতেও জল বাড়ছে। গত বছর সিকিমে বিপর্যয় হয়েছিল, তিস্তা নদী গতিপথ বদলেছে।