“Throwing fertilizer at people, so they grow the hell up” এটাই ছিল নুসরত জাহানের সদ্য দেওয়া ক্যাপশন। যারা দিনরাত তার প্রেগন্যান্সি এবং বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করছেন তাদের মতিভ্রম হয়েছে বলে মনে করছেন সাংসদ অভিনেত্রী। এই গণতন্ত্র দেশে সিঙ্গেল মাদার হওয়া কোনো ব্যাপার নয়, অথচ পুরুষতান্ত্রিক সমাজ এবং বহু মহিলা সন্তানের পিতৃ পরিচয় জানতে চাইছেন এবং বিয়েকে সহবাস বলে ছোট করার কারণ জানতে চাইছে।
এবার তাদের উত্তর সোশ্যাল মিডিয়ায় মারফৎ দিলেন নুসরত। সেই সম মানুষদের মুখে গোবর বা সার জাতীয় কিছু ছুঁড়ে দাও যাতে করে তাদের জায়গা জাহান্নামে হয়। এই জাহান্নাম শব্দটি বেশি ব্যবহার করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তাদের কাছে যারা আল্লাহর কথা মানেন না তারা জাহান্নামে যান। কিন্তু, নুসরত রেগে গেলেন কেন?
View this post on Instagram
কিছুদিন আগে পর্যন্ত অনুরাগীদের কাছে নুসরত ছিলেন একজন নির্ভীক, সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের সৈনিক। মুসলিম হয়েও হিন্দু পুজোয় থাকা, নিজ হাতে পুজোর ঢাক বাজানো, হোলি খেলা, সিঁদুর খেলা, রথের দড়িতে টান দেওয়া সবই করেন। অথচ তিনিই বলে বসেন হিন্দু মুসলিম বিয়ে তখনই বৈধ হয় যখন স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী রেজিস্ট্রি হয়। আর ঠিক সেই জন্যেই তুরস্কের বিয়েকে শুধুমাত্র সহবাস বলে ডিভোর্সের পাঠ চুকিয়ে দেন অভিনেত্রী।
এদিন বিনা মেক আপে ছবি পোস্ট করে যখন রাগ উগড়ে দেন তখন বেশ কিছু নেট জনতা ওই গোবর বা সার প্রসঙ্গে নুসরতকে তুলোধোনা করেন। তার বিয়ে ও সন্তান নিয়ে প্রশ্ন যেমন রাখেন, তেমনই তাকে অনেকে পর্ণ ষ্টার মিয়া খলিফার সঙ্গে তুলনা করেন, কেউ তার ঠোঁটের কারুকার্যের সমালোচনা করেন এবং কেউ কেউ নুসরতকে গ্ল্যামারাস বলে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন।