Oindrila Sen: পুরো বুকটা শুকিয়ে গিয়েছিল: ঐন্দ্রিলা সেন
গতকাল দাদাগিরির মঞ্চে হোলি উৎসবের জন্য ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’-র বিশেষ পর্বে তারকাদের ঢল দেখা যায়। শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী, মনামী ঘোষ, সোমরাজ মাইতি, বিক্রম চ্যাটার্জী, ঐন্দ্রিলা সেনের মত নামী তারকাদের সমারোহে ছয়লাপ হয়ে ওঠে দাদাগিরির মঞ্চ।
সামান্য আলাপচারিতার পরই ঐন্দ্রিলাকে সৌরভ গাঙ্গুলী প্রশ্ন করে বসেন যে তাঁর অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস করতে কেমন লাগে? ঐন্দ্রিলা সঙ্গে সঙ্গে মাথা নাড়িয়ে বিরাট সম্মতি জানিয়ে দেন। অর্থাৎ তিনি এই সকল অ্যাডভেঞ্চার করতে ভীষণ ভালোবাসেন। এরপর সৌরভ গাঙ্গুলী সবাইকে একটি ভিডিও দেখান। যেখানে ঐন্দ্রিলাকে প্যারাগ্লাইডিং করতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওর শুরুতে সাহসী ঐন্দ্রিলা সবাইকে চিয়ার আপ করে প্লেনে উঠছেন। ঐন্দ্রিলার এই ভিডিও দেখে শ্রাবন্তীও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। একটা সময় পরে দেখা যাচ্ছে তিনি প্যারাগ্লাইডিং এর মাধ্যমে শূন্যে ভাসছেন। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে প্রথমবার প্যারাগ্লাইডিং করে উল্লাসে ফেটে পড়েছেন ঐন্দ্রিলা।
ঐন্দ্রিলার কাছে মাঝ আকাশে ভেসে থাকার মুহূর্তের সময় যে শিহরণ সৃষ্টি হয় বুকের মধ্যে তার বিষয়ে জানতে চান দাদা এবং এ প্রশ্নও করেন যে যদি দুর্ভাগ্যক্রমে কখনও প্যারাসুট না খোলে তখন কি হবে? ঐন্দ্রিলা অকপটে জানান,“যেখানে এই প্যারাগ্লাইডিং হয় সেখানে আমাদের অনেক সকালে পৌঁছে যেতে হয়েছিল। আমি মাকে ফোন করিনি যদি কিছু হয়ে যেত আমার তাই। আগে এসব করে ঠিকঠাক ভাবে আমি সুস্থ সবল হয়ে ফিরে আসি তারপর আমি মাকে সব জানাতাম।যখন এখানে আমি যাই একটা জুতো পরানো হয়েছিল সেটাও খুলে দেওয়া হয়। সমস্ত নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা বিধি মেনে আমায় মাঝ আকাশে ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
ফ্লাইটে যখন উঠে আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। নরমাল ফ্লাইটের মতোই লাগছিল। আমি প্রথম দুইজনের পাশেই বসে ছিলাম। যখন ফ্লাইটের দরজাটা খোলা হল আমার দেখে পুরো বুকটা শুকিয়ে গিয়েছিল। চারিদিকে মেঘ আর মেঘ। মেঘ ছাড়া কিছু নেই। আমার মনে হচ্ছিল এদের বলে দিই আমায় ছেড়ে দিতে।”
তখন নাকি অঙ্কুশ ঐন্দ্রিলাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় অনেক টাকা দিয়ে প্যারাগ্লাইডিং করতে এসেছেন তাঁরা। অঙ্কুশ নাকি একটা টাকাও নষ্ট হতে দেবেন না। ঐন্দ্রিলা অঙ্কুশকে দেখেন যে বিমান থেকে পড়ে কোথায় যেন হারিয়ে যান। ভয়ে আরও বেড়ে যায় ঐন্দ্রিলার। ঐন্দ্রিলাকে আশ্বাস দেওয়া হয় নিজের শরীরকে হালকা করে ভাসানো গেলে আর কিছুই করতে লাগবেনা। ঐন্দ্রিলা তাঁদের মজা করে বলেন যে এভাবে ভাসতে ভাসতে ওপরেই চলে যাবেন তিনি। কিন্তু যখন প্যারাস্যুট খুলে সেই সময়ে অভিনেত্রী এক অনাবিল আনন্দ পান যে আনন্দ কোনও কিছু দিয়ে পূরণ করা যায় না।
ঐন্দ্রিলার প্রথম টেলিভিশনের কাজ শুরু সাত পাকে বাঁধার মাধ্যমে। সেই সাত পাকে বাঁধা-র ছোট্ট দুষ্টু আর রাজাকে কি দর্শকের এখনও মনে আছে? পূজা ব্যানার্জি দাদাকে জানান এখন ঐন্দ্রিলাকে তাঁর বাবা দুষ্টু বলেই চেনে। এমনকি তাঁর বিয়েতে ঐন্দ্রিলা যখন যায় তাঁর বাবা ঐন্দ্রিলাকে দুষ্টু বলেই সম্বোধন করেন।