৮০ বছর বয়সেও হুইলচেয়ারে বসে ফুলের ব্যবসা করছেন ঠাকুমা, স্যালুট এই নারীকে
বাড়িতে বসেই এই করোনাভাইরাস এর আবহে নিজের ব্যবসাকে চালু রেখে গেছেন ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মহিলা। ইনি ‘ফুলো কি রানী’ নামে পরিচিত। বৃদ্ধ বয়সে তার এখন ভরসা একমাত্র হুইল চেয়ার। কিন্তু নিজের মনের জোরকে তিনি কখনো কম হতে দেননি। পাকিস্তান থেকে এই বৃদ্ধা মহিলার পরিবার ভারতবর্ষে চলে এসেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে বসতি স্থাপন করেছিল। সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে তিনি গ্র্যাজুয়েশন করার পরে ২৫ বছর বয়সে ১৯৬৫ সালে তিনি বিয়ে করেন। আর্মি অফিসারকে বিয়ে করার জন্য তার সুযোগ হয়েছিল ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর।
ভারতের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তিনি নানা ধরনের ফুল দেখতেন। তিনি জানান, তার স্বামী যখন দেরাদুনে পোষ্টেড ছিলেন, সেখানে তারা ফোউজি হাউসে থাকতেন। যে জায়গাটি প্রায় এক একর জমির উপর অবস্থিত। শুরুটা হয় সেখান থেকেই অর্থাৎ এই এত বড় জায়গা দেখে তার ফুলের বাগান করার ইচ্ছা জাগে। এই বৃদ্ধা মহিলার বোন জানান, তার মধ্যে রয়েছে এক অদ্ভুত ক্ষমতা যে কোন গাছে হাত দিলেই সে গাছে নানান রঙের ফুল ফুটতে থাকে। তার বোন সাপ্তাহিক ফুলের বাজার তৈরি করেন। আর সেখানেই এই বৃদ্ধা মহিলা ফুল দিতে শুরু করেন।
এই বাজারে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস থেকে এই বৃদ্ধা মহিলা তার ফুলের সম্ভার এবং ছোট্ট একটি টাকার বাক্স নিয়ে বসতে থাকে। এখানে ক্রেতাদের সঙ্গে নানান রকম ফুল নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। আস্তে আস্তে তার ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে থাকে। করোনাভাইরাসের আবহে তিনি বাড়িতে অনেক ক্রেতার ফোন পেতে থাকেন এবং তাদেরকে ফুল পাঠাতে থাকেন। অনেকে আবার জানান যে, এই প্যানডেমিক এর সময় তারা কিভাবে ফুলের সঙ্গে খুব সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন। আর তাদের এই মনোভাব এই বৃদ্ধা মহিলাকে এই কাজটি করতে অনেক বেশি উৎসাহ যুগিয়েছে।
করোনার আবহে অনেক মানুষই নিজেদের জীবিকা হারিয়েছেন। কিন্তু বাড়িতে বসেও শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এবং এত বয়সেও কিভাবে নিজের ব্যবসাকে চালু রাখা যায়, তার আদর্শ উদাহরণ এই নারী।