Ranu Mondal: কোনোরকমে না খেয়ে কাটে দিন, কোথায় হারিয়ে গেলেন রাণু মন্ডল!
রাণাঘাট স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে একসময় পেটের দায়ে গান গেয়ে ভিক্ষা করতেন রাণু মন্ডল (Ranu Mandal)। কখনও কেউ পয়সা দিতেন হাতে, কেউ বা দিতেন কেক। এইভাবেই চলে যাচ্ছিল রাণুর যতদিন না তিনি স্থানীয় বাসিন্দা অতীন্দ্র (Atindra)-র নজরে পড়েছিলেন। রাণুর কন্ঠে ‘এক পেয়ার কা নাগমা হ্যায়’ গানটি অতীন্দ্র নিজের মোবাইলে রেকর্ড করে তা ভাইরাল করে দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন হয়ে উঠেছিলেন রাণু। মিলেছিল হিমেশ রেশমিয়া (Himesh Reshmiya)-র সাথে গানের সুযোগ। রাণু ও হিমেশের গান ‘তেরি মেরি কহানি’ যথেষ্ট হিট হয়েছিল নেটদুনিয়ায়। রিয়েলিটি শোয়ে কখনও বিশেষ অতিথি হয়ে আসতেন রাণু। সেই সময় তাঁকে শোয়ে গান গাওয়ার জন্য ডেকে নিয়ে যেতেন অনেক উদ্যোক্তা। অনেকেই মনে করতেন, রাণু হয়তো প্রচুর অর্থ উপার্জন করছেন। কিন্তু তা আদৌ সত্য ছিল না।
View this post on Instagram
করোনা পরিস্থিতিতে প্রকাশ পেয়েছিল প্রকৃত ঘটনা। করোনা অতিমারীর কারণে রাতারাতি কর্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন রাণু। সেই সময় তাঁর একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল যাতে তাঁকে হিমেশ সম্পর্কে বিভিন্ন বিতর্কিত কথা বলতে শোনা যেত। কিন্তু অনেকেই জানতেন না, অর্থাভাবে দিনের পর দিন রাণু কাটিয়েছেন অভুক্ত অবস্থায়। ভাত জুটত না তাঁর। কারণ রাণুর রোজগারের সব অর্থ আত্মসাৎ করেছিলেন অতীন্দ্র ও তাঁর বন্ধুরা। পরবর্তীকালে রাণু নিজেও এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন একাধিক ইউটিউবারের কাছে।
View this post on Instagram
ধীরে ধীরে সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন থেকে ইউটিউবারদের কন্টেন্ট হয়ে উঠেছেন রাণু। তাঁরা কখনও তাঁকে নববধূর বেশে সাজিয়ে গান করতে বলেন, কখনও ব্রা হাতে পোজ দিতে বলেন। এই কাজের বিনিময়ে ন্যুনতম অর্থ ও কিছু খাবার পান রাণু। বর্তমানে এই ভাবেই তাঁর জীবন চলে। রাণাঘাট স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ফেরা রাণুর পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে ইউটিউবারদের দেওয়া সামান্য খাবারেই দিন গুজরান করেন রাণু। অধিকাংশ রাতে বিস্কুট ও জল খেয়ে থাকেন।
View this post on Instagram
তবে এমন অনেক ইউটিউবার রয়েছেন যাঁরা ক্যামেরার সামনে রাণুর হাতে টাকা দেওয়ার পর ক্যামেরা অফ হতেই তা নিয়ে নেন। রাণু অভিযোগ করলেও তা নিয়ে মাথা ঘামানোর কেউ নেই। কারণ অনেকেই রাণুকে অপ্রকৃতিস্থ মনে করেন। তাঁকে নিয়ে তৈরি বায়োপিকের নামও অজানা কারণে ‘মিস রাণু মারিয়া’ থেকে পরিবর্তিত হয়ে ‘এক পেয়ার কা নাগমা’ পরিণত হয়েছে। আর পাঁচজন মানুষের মতো রাণু জানেন না, তাঁর ভবিষ্যৎ কি! কারণ তাঁর বর্তমান নিকষ কালো অন্ধকারে আবৃত।
View this post on Instagram