ভুতুকে বা ভুতুর মা-কে এখনও ভুলতে পারেননি দর্শক। সেই ভুতুর মায়ের বিয়ে হল নতুন বছরেই। ওম সাহানির সঙ্গেই রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেন মিমি দত্ত। ২০১১ সালে রূপসী বাংলার ‘আলোর বাসা’ ধারাবাহিকে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন মিমি ও ওম। এরপরেই দীর্ঘ বিরতি। মাঝে তেমন কোন বন্ধুত্ব গড়ে ওঠেনি। ২০১১ তে সবে ভালোলাগা শুরু হয়েছিলো, কিন্তু প্রেমে কোন পরিনতি পায়নি। শেষে ২০১৭ তে ফের দেখা হয় দু’জনের। শুরু হয় নতুন প্রেম।
কাউকে না জানিয়ে আচমকাই রেজিস্ট্রির ডেট ফিক্স করে ফেলেন মিমি ও ওম। ২০১৭ তে দেখা হয় মিমির সঙ্গে ওমের। তখন থেকেই ভালোলাগা পরিণত হয় প্রেমে। ব্যস ২০২০ তেই সেই প্রেম চূড়ান্ত রূপে সামনে আসে। ঠিক করে ফেলেন রেজিস্ট্রির ডেট। বিশেষ কিছু কারণের জন্য রেজিস্ট্রি বিয়ের তারিখ জানাননি সেশবা মিমি কেউই তবে এখন থেকে তাঁরা মিস্টার এন্ড মিসেস সাহানি। এদিন ওমের পরনে ছিল ধুসর রঙের পাঞ্জাবী, অন্যদিকে মিমির পরনে ছিল গোলাপি শাড়ি ও সোনার গয়না।
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত, অভিনয় ছাড়াও মিমির আরেকটি গুণ রয়েছে। ছোট থেকেই পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট আর পাওয়ার থিঙ্কিংয়ের বই পড়তেন তিনি। তাই অভিনয় ছাড়াও কাউন্সেলিং এর কাজ করেন মিমি দত্ত। ৩ বছর বয়স থেকে অভিনয় শুরু করেন তিনি। এখনও পর্যন্ত জিতের সঙ্গে প্রায় পাঁচটা ছবি করেছেন মিমি। এছাড়া স্বপন সাহার ‘দেবী’ ছবিতে ‘দেবী’ চরিত্রটা করেছিলেন তিনি। বর্তমানে বাংলা ধারাবাহিক জগতে মিমি বেশ সুপরিচিত মুখ। অঞ্জন চৌধুরীর ‘মামা-ভাগ্নে’, ‘জন্মভূমি’, ‘কখনও মেঘ, কখনও বৃষ্টি’ সহ বিভিন্ন ধারাবাহিক ও সিনেমাতে কাজ করেছেন মিমি।
View this post on Instagram
এদিন ওম তাঁদের বিয়ে প্রসঙ্গে বললেন, ‘এই মুহূর্তে সামাজিক বিয়ের পরিকল্পনা নেই। এমনকী রেজিস্ট্রিটাও হঠাৎ করেই করে ফেলা। তবে সকলকে নেমন্তন্ন করে বিয়ের অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা আছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি অবধি পরিস্থিতি কেমন দাঁড়ায় দেখা যাক, সেই বুঝে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠান করার ভাবনা চিন্তা চলছে।’