এই কাহিনী ইন্দ্রানী হালদারের নিজস্ব জীবনের। যদিও এই কাহিনীর রিপিট টেলিকাস্ট বহু অভিনেত্রীর সঙ্গে হয়েছে। কেউ মুখ খুলেছেন, প্রতিবাদ করেছেন, কেউ আপোষ করে মানিয়ে নিয়ে সুপারস্টার হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু, ইন্দ্রানী হালদার কাস্টিং কাউচ বা অশোভনীয় পরিণতির শিকার হতে নিজেকে দেননি। নিজের মানসম্মান নিজেই রক্ষা করতে পেরেছিলেন বা চেয়েছিলেন।
সম্প্রতি, একটি কনফারেন্সে আসেন ইন্দ্রানী হালদার। নিজের স্টুডেন্টদের সামনে ব্যাক্তিগত জীবনের কিছু অধ্যায় তুলে ধরেন যাতে তার স্টুডেন্ট সহ বাকি প্রত্যেকে একটা শিক্ষা নেয়। কি সেই অধ্যায়?
বয়স তখন ২০. মুম্বাইয়ে শ্যুটিং চলছে। মুম্বাইয়ে ফ্লাইট করে যান। সকালে তিনি যান, বিকেলে তার বাবা ফ্লাইটে করে যান। তিনি যেই কয়েকবার গিয়েছিলেন তাকে ফাইভ স্টার হোটেলে রাখা হয়, কিন্তু সেইবার একটি সাধারণ হোটেলে রাখেন প্রযোজনা সংস্থা। সকাল থেকে হোটেলে একাই ছিলেন। মুহূর্তে ফোন আসে প্রযোজক মহাশয়ের। তিনি আসতে চান। ইন্দ্রানী পরিচালককে ফোন দিতে বলেন নিজের আশঙ্কার কথা। কেন আসতে চান প্রযোজক?
প্রযোজক আসেন এবং আসা মাত্রই ইন্দ্রানীর হাত ধরে টানাটানি শুরু করেন। রীতিমত ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ওই প্রযোজক নিজের পোশাক খুলতে শুরু করেন। সেই মুহূর্তে একটি ফোন এসে। তার স্ত্রীর কণ্ঠস্বর। ইন্দ্রানী সুযোগ বুঝে দরজার লক খুলে দেন এবং কাশতে থাকেন। এদিকে প্রযোজক আঙ্গুলের ইশারায় চুপ করতে বলেন। সেই যাত্রায় ইন্দ্রানী নিজেকে বাঁচাতে পেরেছিলেন।
নাহ্, তিনি প্রযোজকের নাম নেননি। শুধু এটুকুই বলেছেন তিনি মৃত। এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছিল বাংলা ইন্ডাস্ট্রির বুকে। সেইসময় ইন্দ্রানী পরিণত। তিনি বলেছিলেন, তেরো পার্বণ করছি, সুযোগ হলে আরও অনেক পার্বণ করতে পারবো। কিন্তু নিজের সঙ্গে আপোষ নয়। ইন্দ্রানীর বার্তা কেউ যদি হোটেলে ডাকে নিশ্চয় যাও কিন্তু একা নয়, কাউকে সঙ্গে নিয়ে যাও। সচেতন হওয়ার বার্তা দেন এদিন অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার। নিজেই শুনুন আর কি কি বললেন ইন্দ্রানী।