Onion Price: একমাসের মধ্যে জলের দরে মিলবে পেঁয়াজ! বাজারদর নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ নিলো সরকার
উৎসবের মরশুম পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অগ্নিমূল্য রয়ে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দ্রব্য। সবজি থেকে মাছ-মাংস, মশলাপাতি থেকে শুরু করে চাল ও ডাল- সবকিছুর দাম বাড়ছে দিনের পর দিন। আর এই বিষয়টি এখন শুধুমাত্র বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে হচ্ছে না, বছরের সব মাসেই এভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ছবিটা ধরা পড়ছে গোটা দেশে। পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব যে বিভিন্ন সামগ্রীর পরিবহনে পড়ছে, তা মোটামুটি পরিষ্কার। আর এই অবস্থায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মধ্যবিত্তরা।
এই অবস্থায় কয়েকমাস ধরেই বাঙালির নাভিশ্বাস বাড়াচ্ছে পেঁয়াজের দাম। কারণ অনেকদিন ধরেই অগ্নিমূল্য রয়ে গিয়েছে হেঁসেলের এই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসটি। বলা যায়, পেঁয়াজের নয়, পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝে চোখে জল আসছে বাজারমুখী খরিদ্দারদের। কারণ উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই গত কয়েক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সাধারণ মধ্যবিত্তদের হেঁসেলে চালানোটাই রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ পেঁয়াজ ছাড়া কিছুই হয়না।
এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রায় সব বাজারেই ছবিটা একরকম। যেখানে পুজোর আগে অবধি প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হত ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা প্রতি কেজি দরে, সেখানে পেঁয়াজের দাম এখন রয়ে গিয়েছে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজিতে। পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে কোচবিহারে রয়েছে ৭০ টাকা, মালদা এবং দুই দিনাজপুর ও নদিয়া জেলায় রয়েছে ৭০-৮০ টাকা, উত্তর ২৪ পরগনার বেশিরভাগ বাজারে রয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও ৮০ তাকে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ।
আর এই বিষয়টিকে পর্যবেক্ষণ করতে বিরাট পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। দেশে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিচ্ছে সরকার। ডাইরেক্টরেট অফ ফরেন ট্রেড একটি বিজ্ঞপ্তি জারি ককরে বলেছে, পেঁয়াজের যে আমদানি নীতি সংশোধন করার ফলে আগামী ৩১ মার্চ ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিদেশে পেঁয়াজ রফতানি করা পুরো নিষিদ্ধ। আর এই পদক্ষেপের পর আগামী জানুয়ারির আগেই পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে পেঁয়াজের কম ফলন কিন্তু পেঁয়াজের দাম কম হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারে।