গণভবন থেকে লুট হাসিনার ‘প্রিয় বিড়াল’, শেষ পর্যন্ত কি পরিণতি হল পোষ্যের!
বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে উত্তাল বিক্ষোভের পর গত ৫ ই অগাস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ছাত্রছাত্রীদের কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকে সরকারের বিরুদ্ধে শুরু হয় দেশজোড়া বিক্ষোভ। চাপের মুখে পড়ে গদি ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা। ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তেই গণভবনে হামলা করে উন্মত্ত জনতা। জয়ের আনন্দে মশগুল কাতারে কাতারে মানুষ ঢুকে পড়ে গণভবনে। কার্যত লুঠপাট চালিয়ে ফাঁকা করে দেয় হাসিনার প্রাক্তন বাসস্থান। এসি, টিভি থেকে ঘটিবাটি, লুঠ হতে বাদ থাকে না কিছুই।
গত ৫ ই অগাস্ট দিনটি বাংলাদেশের কাছে ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। হাসিনার দেশ ছাড়ার পরেই গোটা দেশ জুড়ে উঠেছিল আনন্দের হল্লা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে ঢুকে চলে ‘স্বাধীনতা’র উগ্র আনন্দ প্রদর্শন। গণভবন তোলপাড় করে কেউ তুলে আনেন হাসিনার জামদানি শাড়ি, কেউ টিভি, কেউ এসি, এমনকি হাসিনার ড্রেসিং টেবিল, গণভবনের হাঁস, মুরগি, ছাগল, মায় অন্তর্বাস পর্যন্ত বাদ যায়নি কিছুই। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শেখ হাসিনার প্রিয় পোষ্য বিড়ালকেও তুলে আনা হয়েছে। জানা যায়, ৪০,০০০ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বিড়ালটিকে।
অভয়ারণ্য নামে বাংলাদেশের একটি পশু কল্যাণমূলক সংস্থার তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়, গণভবন থেকে চুরি গিয়েছে শেখ হাসিনার প্রিয় বিড়াল এবং একটি জার্মান শেফার্ড কুকুর। তারপরেই বাংলাদেশের স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স উদ্ধার করে বিক্রি হয়ে যাওয়া বিড়াল এবং কুকুরটিকেও। হাসিনার দুই প্রিয় পোষ্যকেই ফের গণভবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
গণভবন থেকে সেদিন চুরি হওয়া হাঁস, মুরগি, মাছ নিয়ে ওই সংস্থার তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, সেগুলি সম্ভবত কেটে রান্না করে খেয়ে ফেলা হয়েছে। তবে অন্য কেউ যদি গণভবন থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পোষ্য কোনো প্রাণী নিয়ে গিয়ে থাকেন তবে তা ফেরত দেওয়ার জন্য গণভবনের গেটে নিরাপত্তা রক্ষীর কাছে নিয়ে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। আর যদি কেউ গণভবনে আসতে না চান, সেক্ষেত্রে ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করলে স্বেচ্ছাসেবকরা গিয়ে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসবে বলে জানানো হয়েছে।