Weather Report: দক্ষিণবঙ্গের পর উত্তরবঙ্গে দুর্যোগের ঘনঘটা, সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির ইঙ্গিত
দক্ষিণবঙ্গের পর এবার বিপর্যয়ের মুখে উত্তরবঙ্গ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই উত্তরবঙ্গে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী সোমবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত বজায় থাকবে উত্তরবঙ্গে। বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের ভিত্তিতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় জারি করা হয়েছে কমলা এবং হলুদ সর্তকতা। বিহার এবং পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ওপর অবস্থান করছে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা, যা আগামী রবিবার ও সোমবারের মধ্যে বিহার এবং সংলগ্ন উত্তরবঙ্গে পৌঁছাবে, এমনটাই জানা গিয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। এই নিম্নচাপের জেরে সোমবার পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টিপাত বজায় থাকবে উত্তরবঙ্গে।
শনিবার অর্থাৎ ২রা অক্টোবর দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং দুই দিনাজপুরের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এই সকল জেলায় জারি করা হয়েছে হলুদ সর্তকতা। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের দু-একটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হতে পারে প্রায় ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এই সকল জেলায় জারি করা হয়েছে কমলা সর্তকতা। ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা হয়েছে মালদহ, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর এবং মুর্শিদাবাদেও। ৪ঠা অক্টোবর সোমবার কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুটি জেলায় কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ির দু-একটি অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।এই দুই জেলায় জারি করা হয়েছে হলুদ সর্তকতা।
অপরদিকে গত দু’দিনের একটানা বৃষ্টিপাতের ফলে জলমগ্ন হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমী জেলাগুলি। হাওড়া, হুগলি, বীরভূম এবং বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বানভাসি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হাওড়ার উদয়নারায়নপুরের ১০টি পঞ্চায়েত, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের ১২টি ওয়ার্ড, হুগলির আরামবাগ মহাকুমার ৬৩টি পঞ্চায়েত জলমগ্ন হয়েছে, এমনটাই জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘বাঁকুড়া পুরোটা ডুবে গিয়েছে। পুরুলিয়ার অনেকটা, আসানসোলে অনেক জল জমেছিল। এখন অনেকটা কমেছে। পূর্ব বর্ধমানের অনেকটা ভাসছে। ওই জল আসছে হাওড়া এবং হুগলিতে। মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামও প্রভাবিত হয়েছে। পুজো, নির্বাচন যা-ই থাক, মানুষের বিপদে পাশে থাকা আমাদের অগ্রাধিকার।’’