Arpita Mukherjee: জেলে স্পেশাল ট্রিটমেন্ট পাচ্ছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়
কথায় আছে, “অলক্ষীর নিদ্রা বেশি, কাঙালের ক্ষুধা বেশি।” এই মুহূর্তে পার্থ এবং অর্পিতা হয়তো দুজনেই কাঙাল। লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে জেলের ঘানি টানতে টানতে চাইছে তেলেভাজা, পাঁঠার মাংস, ড্রাই ফ্রুট। এটাই কি ভারতীয় আইনের দুর্দান্ত ঢিলে ঢালা সরু গলি? নাকি সত্যি কানুন অন্ধ? আমরা দেখেছি যাদের টাকা আছে তারা হাজার অন্যায় করলেও ছাড়া পেয়ে যান। সেখানে এন সি বি ( NCB) হোক বা ইডি (ID) কিছুই করতে পারেনি। এখনও বহু কেস ঝুলছে আবার কোথাও কোথাও দোষীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরছে। মাঝে শুধু ছোট্ট করে সুনামি আসে।
পার্থ ও অর্পিতা চরম ঘনিষ্ঠ এই ব্যাপারটি প্রমাণ করতে ইডি র কাল ঘাম ছুটছে। এদিকে রইলো ৫০ কোটি টাকার নয় ছয়। আদৌ দোষীদের বিচার হবে তো? নাকি জেলে বসে একের পর এক ভুরিভোজের আবদার করে যাবে?
সম্প্রতি, জেল সূত্রে খবর, অর্পিতা একটু হলেও স্পেশ্যাল ট্রিটমেন্ট পাচ্ছেন জেলে বসেই। আপাতত তিনি আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের ২ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছেন। আগে ৪০ জনের সঙ্গে ছিলেন, সেদিন আর ভাত খাননি। এবারে রয়েছেন ২০ জন বন্দিনির সঙ্গে। ড্রাই ফ্রুটস, ব্ল্যাক কফি, ইলিশ, মাংস খাওয়া অর্পিতা কিছুতেই ডাল রুটি ভাত লিকার চা খেতে পারছেন না। জেলের খাবার নিয়ে অভিযোগ করলেও ইডি পাত্তা দেয়নি। অর্পিতা চাইছেন তাদের বন্দিনিদের অন্তত পক্ষে চিকেন মটন মাছ দেওয়া হোক। কিন্তু, জেলের নিয়ম তো একজন তথাকথিত চোরের আবদারে পাল্টে ফেলা যায় না।
এদিকে, অর্পিতা ছাড়া বাকি ১৯ জন সহযাত্রীরা অর্পিতাকে খুবই সাহায্য করছেন। কেউ তার কাপড় কেচে দিচ্ছে, কেউ কেউ কম্বল দিয়ে বিছানা করে দিচ্ছেন। কেউ আবার খাবার এনে দিচ্ছেন। যারা জেলে ছিলেন আগে থেকে তারা অর্পিতার কীর্তি জানেন না, কারণ তারা খবর দেখেন না। অথচ, অর্পিতার কান্না ভেজা চোখ, আহ্লাদী ব্যাবহার হয়তো বাকিরা গলে গিয়েছেন। তাই সবাই অর্পিতার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন সাহায্যের জন্য।