ইলিশ ছাড়াও পাতে পড়বে না পাবদা, পারশে, ভেটকি, ট্যাংড়া, পমফ্রেটও! কেন জানেন?
বর্তমানে ভরা মরসুম চলছে বর্ষার। বর্ষা এসে গেছে মানেই সকলের পাতে এক টুকরো ইলিশ মাছ পড়বে এমনটাই স্বাভাবিক, অনেকেই ইলিশ মাছ খায়, কাতলা মাছ, মাংস এছাড়াও অন্যান্য মাছের প্রতি বাঙ্গালীদের একটা অন্যতম আকর্ষণ রয়েছে। কেউ কি ইলিশ মাছের প্রেমী? আর এই ইলিশ মাছ খাওয়ার জন্য আপনিও কি মুখিয়ে রয়েছেন? তাহলে আজকের এই লেখাটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই, ভালো করে পড়ে ফেলুন।
ইলিশপ্রেমীদের জন্য খারাপ খবর-
বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের সেই রকম পরিস্থিতিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য কার্যত বন্ধ হয়ে রয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে মাছ আমদানির ক্ষেত্র বাজারে। এই সময়ের মধ্যে পদ্মার ইলিশ অনেক পরিমাণে ঢুকে যায়, কিন্তু এই বছর তেমন খুব একটা আশা দেখতে পাচ্ছেন না মাছ ব্যবসায়ীরা এবং তারা জানাচ্ছেন। এদিকে বেনেপোল, পেট্রাপোল সীমান্তে ইলিশ থেকে শুরু করে বহু মাছ ভর্তি ট্রাক দাঁড়িয়ে। কবে এই অচলাবস্থা কাটবে সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
ইলিশ মাছ নিয়ে হাহাকার দেখা যাচ্ছে –
এমনিতে পদ্মার ইলিশের স্বাদ ও গন্ধই অন্য রকম। কিন্তু এবারে হাওড়ার বাজার থেকে শুরু করে বাংলার কোনো বাজারেই পদ্মাপারের ইলিশের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে মন খারাপ সকল মাছপ্রেমীর। চাহিদা রয়েছে অথচ মাছ নেই। মাছ ব্যবসায়ীরা জানালেন, প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে ৮ থেকে ১০ টি ট্রাকে প্রায় ৮০০ মেট্রিক টন পাবদা, পারশে, ভেটকি, ট্যাংড়া, পমফ্রেট এবং অন্যান্য মাছ আমদানি হয়।
এবার ভারত থেকে ১০ থেকে ১২টি ট্রাকে প্রায় ১০০ মেট্রিক টন বোয়াল, রুই, কাতলা, ভেটকি, কাজরি এবং অন্যান্য মাছ বাংলাদেশে রফতানি হয়। এবারে যা বাংলাদেশের পরিস্থিতি, তাতে কিছুতেই কোনো রকম ভাবেই ভালো কিছুর আশা দেখতে পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা, যার কারণে ঘরে প্রায় দু কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।