Pan-Adhaar: প্যান ও আধার কার্ড নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, চালু হচ্ছে এই নতুন নিয়ম
প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের কাছে প্যান কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটিকে অত্যাবশ্যকীয় নথি বললেও ভুল হবে না। কারণ নানা কাজে ব্যবহার করা হয় প্যানকার্ড। ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে আইডেন্টিটি ভেরিফিকেশনের কাজে এই নথি ব্যবহৃত হয়। এখানেই শেষ নয়, ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইলিংয়ের জন্য প্যান কার্ডের ১০ অঙ্কের সংখ্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও যেকোনো আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে এখন আবশ্যক নথি হল এই কার্ড। এদিকে মূলত ভারতীয় অর্থমন্ত্রক প্রদান করে থাকে।
তবে শুধুমাত্র প্যান কার্ড নয়, ভারতীয় নাগরিকদের কাছে আধার কার্ডের গুরুত্বও বাড়ছে দিন দিন। কারণ সরকারের তরফে অধিকাংশ জায়গায় পরিচয়পত্র হিসেবে আধার কার্ডকেই মান্যতা দেওয়া হয়। ব্যাঙ্কের একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে, সিম কার্ড কেনা, গাড়ি কেনা এমনকি হোটেলে রুম নিতেও আধার কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। এছাড়াও ব্যবসা রেজিস্ট্রেশন করতেও এই নথির গুরুত্ব অপরিসীম।
তবে এই দুটি নথি থেকেই আজকাল বিস্তর নাশকতা বাড়ছে দেশে। এই বিষয়ে অনেক ঘটনা অনেক সময় সামনে আসে। কোথাও যেমন এইসব ডকুমেন্টস ক্লোনিং করে নানা নাশকতামূলক কাজে ব্যবহার করা হয়, তেমনই আবার বিভিন্ন মৃত ব্যক্তির এইসব কার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যবসার লাইসেন্স থেকে শুরু করে ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন অবধি হয়ে থাকে। একটি সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, বিগত এক বছরে গোটা দেশে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১২ হাজারের বেশি জাল নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এভাবে নাকি বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি টাকার ট্যাক্স লস হয়েছে সরকারের।
তবে এবার এই বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার পথে সরকার। এই বিষয়ে লাগাম টানতে এবার থেকে CBIC সারা দেশে GST মান্যতা প্রাপ্ত সংস্থাগুলির বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ এবং জিওট্যাগিং কার্যকর করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। ইতিমধ্যে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এই সংশোধিত আইন নিয়ে পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, এরকম জালিয়াতি করতে গিয়ে কেউ ধরা পড়লে তার ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।