Padma Shri: হুইল চেয়ারে হাসিমুখে ‘পদ্মশ্রী’ নিলেন ১০৫ বছরের বৃদ্ধা, জানেন এই কৃষিমাতার অবদান!
সম্প্রতি পদ্মশ্রী পুরস্কার দেওয়ার নানান রকম ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার ঘুরপাক খাচ্ছে। তার মধ্যে কয়েকজন তো বেশ ভাইরাল হয়েছেন। যেমন ‘বৃক্ষ মাতা’ তুলসী গৌড়া। সম্প্রতি আরেকজনের নামও উঠে এলো সোশ্যাল মিডিয়ায় পর্দায় তিনি হলেন কোয়েম্বাটুর শ্রীমতী রঙ্গাম্মাল ইলিয়াস পাপ্পম্মল। বয়সের তোয়াক্কা না করেই সাদা চুল, ফোকলা দাঁতের হাসি হেসে রাজনাথ কোবিন্দ এর হাত থেকে হাসি হাসি মুখ করে পদ্মশ্রী নিচ্ছেন। এ দৃশ্য এক অসাধারণ দৃশ্য। তার হাতের ছোঁয়ায় অনুর্বর জমিতে ফলেছে মিলেট, নানান ধরনের সবজি নানান ধরনের ডাল, শস্য শ্যামলা করতে হবে এই পৃথিবীকে আর তার জন্য এমন মানুষের পৃথিবীতে বেঁচে থাকার সত্যিই ভীষণ প্রয়োজন আছে। তাইতো তিনি ১০৫ বছর বয়সেও এমন তরতাজা।
হালকা গোলাপী রঙের সিল্কের শাড়ি আর ফোকলা দাঁতের অসাধারণ হাসি বলে দিচ্ছে যে সত্যিই ইচ্ছা থাকলে কত কিছুইনা হতে পারে, আমরা কত গাছপালা রোপন করা নিয়ে কত মিটিং মিছিলে যোগদান করে কত কিছুই না করি, কিন্তু মনের মধ্যে যদি সুপ্ত ইচ্ছা বা বাসনা থাকে এই পৃথিবীকে একটু অন্যরকম করে তুলবো, তাহলে কিন্তু আপনি একাই যথেষ্ট তবে শুরুটা আপনাকে করতে হবে। পৃথিবীতে এখন এরকম মানুষের খুব দরকার কারণ পৃথিবী যত সামনের দিকে এগোচ্ছে অর্থাৎ পৃথিবীর যত বয়স বাড়ছে, ততোই গাছপালা কমে যাচ্ছে, গাছপালায় হলো পৃথিবীর বেঁচে থাকার একমাত্র উৎস।
আমরা সকলেই ভুলে যাচ্ছি, কারণ আমাদের কংক্রিটের জঙ্গল তৈরি করতে করতে আমরা ভুলে যাচ্ছি যে কংক্রিটের জঙ্গল আর আমাদের জন্য প্রয়োজন নেই। আমাদের প্রয়োজন সত্যিকারের গাছপালার জঙ্গল। কিন্তু বর্তমানে পৃথিবীর উন্নত ঠিক যেখানে পৌঁছেছে সেখানে কংক্রিটের জঙ্গলে প্রয়োজন আছে। আমরা কবির ভাষায় কখনো সেই কথাকে বলতে পারিনা, যে দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর। কিন্তু নিজেরা যতটা পারা যায়, এই ঠাকুমার মতন মানুষরা আছেন বলেই পৃথিবীটা হয়তো এখনো কিছুটা শ্বাস নিয়ে বাঁচতে পারছে।