সম্প্রতি বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি (parimani) সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন জানিয়েছিলেন, তাঁকে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়ে পরীমণি তাঁর পোস্টে ট্যাগ করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (sheikh hasina)-কে। এরপরেই পরীমণির বয়ান রেকর্ড করা হয় ও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু গ্রেফতারের দুই সপ্তাহের মধ্যেই পরীমণিকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় জামিন পেলেন প্রধান দুই অভিযুক্ত নাসিরুদ্দিন মাহমুদ (naseeruddin mahmud) এবং তুহিন সিদ্দিকী অমি (Tuhin siddique ami)।
জানা গিয়েছে, পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকা দিয়ে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য না হওয়া পর্যন্ত ওই দুই অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে আদালত। এই ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জগৎ সরব হয়ে উঠেছেন। প্রশ্ন উঠেছে পরীমণির নিরাপত্তা নিয়েও।
গত 14 ই জুন ধর্ষণ, হত্যার চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে নাসিরুদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমি- সহ মোট ছয় জনের নামে থানায় মামলা করেছিলেন পরীমণি। কিন্তু প্রথমে বাংলাদেশ পুলিশ তাঁর সাথে অসহযোগিতা করলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরো ঘটনাটি জানিয়ে পরীমণি লেখেন, তিনি শৈশবেই মাতৃহারা। তাই শেখ হাসিনা তাঁর কাছে মায়ের মতো। শেখ হাসিনাকে ‘মা’ সম্বোধন করে পরীমণি লেখেন, বেঁচে থাকার জন্য শেখ হাসিনাকে তাঁর দরকার। নিজেকে বাঁচানোর জন্য শেখ হাসিনার সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন পরীমণি।
এরপরেই শেখ হাসিনার নির্দেশে নাসিরুদ্দিনের উত্তরার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুণ-অল-রশিদ (Haroon-al-Rashid)। নাসিরুদ্দিনের বাড়ি থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছিল। একই দিনে বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করা হয়েছিল।
পরীমণির পাশে শুধুমাত্র সহকর্মী হিসাবে নয়, মহিলা এবং এক স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন জয়া এহসান (Jaya ehsan)।