Arpita Mukherjee: আজও অব্যাহত পার্থ-অর্পিতার মাখোমাখো প্রেম!
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিগত কয়েকমাস ধরেই জেলের অন্ধকারে দিন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং তার একসময়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee)। তবে দুজনে রয়েছেন আলাদা আলাদা জেলে। একাধিকবার আদালতে তাদের জামিনের আবেদন করা হলেও প্রত্যেকবার তার খারিজ করেছেন মহামহিম বিচারপতি। বরং তাদের জেরার পর একের পর এক রাঘব বোয়ালের সূত্র খুঁজে পেয়েছেন ইডির দুঁদে গোয়েন্দারা। তাদের মধ্যে অনেকেই এখন জেলের অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছেন।
আর এর মাঝেই ফের ‘হঠাৎ দেখা’ হল দুজনের। যদিও ভার্চুয়ালি হল সেটা। মঙ্গলবার দায়রা আদালতে শুনানি ছিল এই মামলার। আর তাতেই ভার্চুয়াল স্ক্রিনে ভিডিও কনফারেন্সে হাজির করা হয় ‘অপা’-কে। আদালতের দুই দেওয়ালের টিভি স্ক্রিনে একটা সময় ফুটে উঠল দুজনের মুখ। দেখা হল, চোখে ইশারায় হল অনেক কথা, এর মাঝেই মিটল তাদের রাগ-অভিমান ও প্রেমের পর্ব। আর এই ঘটনার সাক্ষী থাকল আদালত। কি হল আদালত কক্ষে? দেখুন বিস্তারিত।
■ দুপুর ২.৫০ : স্ক্রিনে প্রথমবার দেখা গেল দুজনকে। বন্ধ ছিল দুজনের অডিও। তবে তাতে কি! চোখে চোখেই প্রথম কথা বললেন দুজনে। প্রথম দর্শনে দুজন দুজনকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কেমন আছো?’। উত্তর বিনিময়ও হল ইশারায়।
■ দুপুর ২.৫৪ : পার্থবাবু অর্পিতাকে ইশারায় জানতে চাইলেন যে তিনি খেয়েছেন কিনা। ঘাড় নেড়ে উত্তর দেন অর্পিতা এবং তাকেও ঘুরে সেই প্রশ্ন করেন তিনি। ইশারায় সম্মতি জানান পার্থ। তারপরেই দুজনের ঠোঁটে মুচকি হাসি দেখা যায়। এরপরেই মজার ছলে অর্পিতাকে জিভ ভ্যাঙ্গান পার্থ। আর তাতেই হাসিতে লুটোপুটি খান তার বান্ধবী। পরমুহূর্তেই হাত দিয়েই ‘হার্ট সাইন’ দেখান পার্থ। মুহূর্তে তাদের মধ্যে বয়ে যায় প্রেমের মরশুম।
■ দুপুর ৩.১০ : ইশারায় পার্থকে চা খাওয়ার কথা জিজ্ঞেস করেন অর্পিতা। ইশারায় পার্থ জানান ‘না’। আবার মুচকি হেসে ফেলেন দুজনেই। আঙুল দিয়ে বুকে কিছু লিখে বান্ধবীকে ইশারায় কিছু বোঝাতে চাইলেন পার্থ।
■ দুপুর ৩.১৭ : চুলের গোছা টেনে সামনে আনেন অর্পিতা। আর তাতে পার্থ ইশারায় তাকে বুঝিয়ে দেন যে ভালো লাগছে দেখতে। পরমুহূর্তেই অফ হয়ে যায় পার্থর স্ক্রিন। উদ্বেগ দেখা যায় অর্পিতার মুখে।
■ দুপুর ৩.২২ : আবার স্ক্রিনে জ্বলে ওঠেন পার্থ। তাকে এই বিঘ্নের কারণ জিজ্ঞেস করতেই ইশারায় তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে চা খাচ্ছিলেন। নিজের ঠোঁটে হাত রেখে কিছু বোঝাতে চাইলেন অর্পিতা। তবে তাতে মাথায় হাত দিয়ে পার্থ বোঝাতে চাইলেন যে তার মাথা খারাপ হয়ে গেছে কিনা।
■ দুপুর ৩.৩০ : শুনানি শেষে দুজনের স্ক্রিন বন্ধ হয়ে যায়। মুহূর্তে থেমে যায় ইশারায় কথোপকথন।