Partha Chatterjee: পার্থর মুখে চওড়া হাসি, পুজোয় জেলে বসেই খাসির মাংস দিয়ে চলবে পেটপুজো
কথায় আছে- টাকা মাটি, মাটি টাকা। পার্থ-অর্পিতার ক্ষেত্রে অবশ্য টাকা গারদ, গারদ টাকা। এবারে আর নাকতলা উদয়ন সংঘে পার্থর চমক থাকবে না, তেমনই জৌলুস হারাবে বেলঘরিয়ার দেওয়ান পাড়ার পুজো। কারণ, প্রতি বছর অর্পিতা দেদার হাতে পুজোয় সাহায্য করতেন। পুজোর কাজ একা হাতে করতেন। ফল আনা থেকে ফুল দিয়ে সাজানো, পুজোর প্রসাদ, মিষ্টি বিলানো সবটাই সামিল থাকতেন। এমনকি আর্থিক সাহায্যও করতেন তিনি। কিন্তু,এই বছর অর্পিতার মা একাই থাকবেন।
অসুস্থ মা আসতে পারেন না গারদের বাইরে। মেয়ের কুকীর্তির কথা শুধু শুনেই চলেছেন, কিন্তু মেয়ের সঙ্গে এখনও দেখা হয়নি। মেয়েও অঝোরে কেঁদে চলেছে জেলে বসে। বিচারকের কাছে মায়ের অসুস্থতার কথা বলে জামিন চেয়েছেন। অবশ্য এর বদলে তাকে শুনতে হয়েছে, ‘আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের চোখের জল দেখতে পারছেন না?’
আজ বরং দুঃখের কথা বাদ থাক। একটু খাওয়া দাওয়ার গপ্প হোক। পার্থ বাবু জেলে গিয়ে মটন চেয়েছিলেন, তেলেভাজা খেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেসব পাননি। এবার পাবেন। এবার পাবেন মটন, কাতলা ইত্যাদি ইত্যাদি। চলুন আরেকটু ভেঙেচুরে বলি।
গুলি মারো এসএসসি কেলেঙ্কারির গল্প, এবার চলুক দেদার খানা পিনা, তাও আবার প্রেসিডেন্সি জেলে বসেই। পুজোর তিন দিন, অর্থাৎ অষ্টমী, নবমী, দশমী ধরে চলবে দেদার খাওয়া। যেমন মেনুতে থাকছে খিচুড়ি, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি, লুচি, ঘুগনি, রসগোল্লা, লাড্ডু। এছাড়াও রান্না হবে মটন কষা আর মটন গ্রেভি।এবার হবে না চিকেনের মেনু। থাকবে রুই কাতলার কালিয়া এবং স্পেশ্যাল পটল চিংড়ি।