Partha Chatterjee: কলেজ থেকেও লক্ষ লক্ষ টাকা তুলতেন পার্থ-মানিক! বিস্ফোরক তথ্য ইডির হাতে
নিয়োগ দুর্নীতিতে যেন এবার মিলছে টাকার খনির সন্ধান। এবার আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য এল ইডির (ED) হাতে। এতদিন অভিযোগ ছিল, বিএড এবং ডিএলএড কলেজগুলি থেকে ছাত্রপিছু টাকা নিতেন প্রাক্তন বোর্ড আধিকারিক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। তবে এবার আরো টাকা নেওয়ার তথ্য ইডির হাতে এসে পৌছাল। এইসব কলেজ থেকে নাকি টাকা নেওয়া হত ‘নো অবজেকশ্যান’ সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্যও। এবং সেই টাকার অঙ্কও কম নয়।
বুধবার ফের আদালতে পেশ করা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee)। আর সেখানেই এই তথ্য তুলে ধরেন ইডির আইনজীবীরা। তাদের অভিযোগ, শুধুমাত্র সরকারি কলেজ নয়, বেসরকারি নানা পাঠক্রমযুক্ত কলেজ থেকেও একইভাবে টাকা নিতেন পার্থ-মানিক। এর মধ্যে ল-কলেজ, বিএড কলেজ, ডিএলএড কলেজও রয়েছে। যাদের ‘নো অবজেকশ্যান সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্যও ১০-১২ লক্ষ টাকা নেওয়া হয় বলে জানা গেছে ইডি সূত্রে।
তবে শুধু টাকা লেনদেন নয়, চাকরির সুপারিশ করার তথ্যও উঠে এসেছে পার্থ মানিক জুটির বিরুদ্ধে। তবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ নতুন নয় মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেই খুলে যায় রহস্যের জাল। জেরায় তাপস মন্ডল জানান, ‘ডিএলএড-এ যাঁরা প্রশিক্ষণ নিতে চাইতেন, তাঁদের থেকে নিয়মিত ভাবে টাকা নেওয়া হত। ডিএলএড-এর যে ৬০০টি কলেজ রয়েছে, ভর্তির জন্যই নেওয়া হত ওই টাকা। যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কলেজে নাম নথিভুক্ত করতে পারতেন না, তাঁদের অফলাইনে নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করে দিতেন মানিক। তাপস মণ্ডল দাবি করেছেন, এভাবে অন্তত ২০ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল।’
আর পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই বিষয়টিকে তুলে ধরে শাসক দলকে দুর্নীতি প্রসঙ্গে নিশানা করছে বিরোধীপক্ষ। বিরোধী নেতাদের দাবি, এভাবেই দশকের পর দশক বাংলায় দুর্নীতি চালিয়ে আসছে শাসক দল।