রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh) ছবি শেয়ার করলে ট্রোলড হবেন, এটা তো তিনি নিজেও জানেন। জানেন তাঁর তথাকথিত বন্ধুরাও। তবুও রুদ্রনীল দীপাবলীর আগে তাঁর আড্ডা মারার ছবি শেয়ার করতে ছাড়লেন না।
কারণ তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন বলে যেসব বন্ধুরা একদা তাঁর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন, তাঁকে বিদ্রুপ করতেন, এবার সেই বন্ধুরাই সশরীরে তাঁর বাড়ি এসে আড্ডা দিচ্ছেন। পরমব্রত (Parambrata Chatterjee) কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন রুদ্রনীলের সাথে। অন্তত রুদ্রনীল তাই বলেছিলেন। তিনি নাকি পরমব্রতকে অনেকবার ফোন করেও পাননি। অথচ রুদ্র-পরম বন্ধুত্ব সর্বজনবিদিত। কিন্তু রুদ্রনীল বলেছিলেন, তাঁর দরজা পরমব্রতর জন্য সবসময়ই খোলা। দীপাবলীর আগে সেই খোলা দরজা দিয়েই পরমব্রতর পুনরাগমন রুদ্রনীলের জীবনে। পরমব্রত তো একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তাঁর বান্ধবী ইকা (Ike Scouten) রুদ্রকে নাকি পছন্দ করেন! তবে ইকাকে এই পার্টিতে দেখা যায়নি। অথবা তিনিই হয়তো ক্যামেরার সামনে আসতে চাননি।
এসেছিলেন রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty) ও শুভশ্রী গাঙ্গুলী (Subhasree Ganguly)। ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ারের শুরুতে রাজ ও রুদ্রনীল একসঙ্গেই রুম শেয়ার করতেন বলে শোনা যায়। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের সময় রুদ্রনীল ও রাজ একে অপরের প্রতি বক্রোক্তি করতেন। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর আবারও তাঁরা বন্ধু হয়ে গেছেন। আবীর চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee)-এর অবস্থান একই রয়েছে। তিনি আগেও রুদ্রনীলের বন্ধু ছিলেন, এখনও আছেন। এসেছিলেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত (Padmanabha Dasgupta)। তিনি রুদ্রনীলের হাত ছাড়েননি তা গেরুয়া রঙেই রাঙানো হোক না কেন! দেখা যায়নি যীশু সেনগুপ্ত (Jissu U. Sengupta) বা সৃজিত মুখার্জী (Srijit Mukherjee)-কে। আসেননি কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mallick)-ও।
যাক, কেউ আসুক না আসুক, রুদ্রনীলের মুখে হাসি ফুটেছে অবশেষে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা উঠতেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে তিনি জবাব দিয়েছেন, তাঁর কাছে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-এর ফোন নম্বর আছে। যোগ দেওয়ার ইচ্ছা হলে তিনি নিজেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করবেন বলে জানিয়েছেন রুদ্রনীল। কিন্তু নট রিচেবল এলে কি হবে? কারণ ‘রুদ্রশ্চরিত্রম’ সবাই জানন্তি।
View this post on Instagram