এবার থেকে প্রতিমাসে ব্যাঙ্কে ঢুকবে অতিরিক্ত টাকা, সরকারি প্রকল্পে এভাবে করুন আবেদন
কৃষি দেশের ভিত্তি। সোনার ফসল উৎপাদন করে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটান, পেটে ভাত যোগান কৃষক ভাইয়েরা। তাই তাদের সুবিধার্থে বিশেষ প্রকল্প, স্কিম (Krishak Bandhu) নিয়ে আসে সরকার, যেখানে নানান সুবিধা পেয়ে থাকেন তারা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে কৃষকদের জন্য একটি দারুণ স্কিমের ঘোষণা করা হয়েছিল। কৃষক বন্ধু নামে এই প্রকল্পে মাসিক অর্থ পেয়ে থাকেন কৃষকরা। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি মাসে ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাতা দেওয়া হয় কৃষকদের।
এবার এই প্রকল্পে এক নতুন ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের তরফে, যাতে কৃষকরা আরো বেশি লাভবান হবেন। এবার থেকে অতিরিক্ত পেনশন পেতে চলেছেন কৃষকরা। প্রতি মাসে তাদের ভাতার পরিমাণ বাড়তে চলেছে আরো ১০০০ টাকা। একটি ফর্ম ফিল আপ করে তবেই এই টাকা পাওয়া যাবে। কীভাবে এই টাকা পাবেন, কীভাবে করবেন ফর্ম ফিল আপ সব তথ্য রইল এই প্রতিবেদনে।
কৃষক বন্ধু পেনশন স্কিমে এবার থেকে বার্ধক্য ভাতার মতোই পেনশন দেওয়া হবে কৃষক বন্ধুদের। ৬০ বছর বয়স পেরোলে প্রতি মাসে হাজার টাকা করে অতিরিক্ত ভাতা পাবেন তারা। এই ভাতা পাওয়ার জন্য কিছু শর্তাবলী পূরণ করতে হবে কৃষকদের। ২০২৪ এর পয়লা জানুয়ারি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৬০ বছর বয়সের মধ্যে থাকতে হবে। আর শারীরিক ভাবে অক্ষম কৃষকরা ৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। অন্তত ১০ বছর ধরে রাজ্যের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। নিজের নামে এক একরের বেশি জমি থাকা যাবে না। আর যদি বর্গাদার হন তাহলে সর্বোচ্চ জমির পরিমাণ হতে হবে ২ একরের পরিমাণ। উল্লেখ্য, যারা এই প্রকল্পে আবেদন করবেন তারা অন্য কোনো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না।
স্থানীয় ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা বা মহকুমার সহ কৃষি অধিকর্তা কিংবা জেলার সহ কৃষি অধিকর্তার অফিস থেকে কৃষক বন্ধু পেনশন স্কিমের ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। ফর্মটি ফিল আপ করতে হবে নিজের নাম, ঠিকানা, বয়স, আধার এবং ভোটার নম্বর, জমির তথ্য সহ। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এর সই, ভূমি দপ্তরের রেভিনিউ অফিসার, ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সই প্রয়োজন হবে এই ফর্মে। সঠিক স্থানে ছবি লাগিয়ে আবেদনকারী কৃষককে সই করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলির এক কপি জেরক্স সংযুক্ত করতে হবে এই ফর্মের সঙ্গে। এই ফর্ম জমা করতে হবে অফিসে। এই ফর্ম ফিল আপের জন্য প্রয়োজন হবে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, কাস্ট সার্টিফিকেট, এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জমির তথ্যের প্রমাণ, শারীরিক অক্ষমতা থাকলে তার প্রমাণ।