Lifestyle: ধনতেরাসের আগেই বাড়িতে আনুন এই ফুলের গাছ, অর্থকষ্ট দূর হবে শীঘ্রই
দীপাবলির আগেই রয়েছে আরেক উৎসব, ধনতেরাস। হিন্দুধর্মে এই ধনতেরাস দিনটিকে শুভ দিন বলে মনে করা হয়। কারণ এই দিনে ধন্বন্তরীর সঙ্গে মা লক্ষ্মী ও গণেশের পুজো করা হয়ে থাকে। তাই এই দিনে করা কিছু কাজ আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই জ্যোতিষশাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এই দিনে সোনা বা রূপোর গয়না কেন শুভ। এমনটা করলে নাকি বাড়ির মধ্যে অর্থাভাব হয়না। তাই এই বিশেষ দিনে সোনা ও রূপোর গয়না কেনার চল রয়েছে অনেকের মধ্যে। এছাড়াও আরো বেশ কিছু নিয়ম পালন করলে ভাগ্যের চাকা ঘুরে যেতে পারে নিমেষে।
ভারতের প্রাচীন একটি শাস্ত্র হল বাস্তুশাস্ত্র। বহু শতাব্দী ধরে এই শাস্ত্র আমাদের বসতবাড়ি সাজানো গোছানোর বিষয়ে নানা তথ্য দিয়ে আসছে। বাড়ির কোথায় কোন জিনিস রাখলে, বাড়িতে লক্ষ্মীর বসবাস হয়, সেই বিষয়েও নানা মত দিয়ে থাকেন বাস্তুবিদরা। তেমনই বাড়িতে কোন গাছ লাগলে, সেই বাড়িতে সমৃদ্ধির দেবীর কৃপা বর্ষণ হয়, সেই বিষয়েও উল্লেখ রয়েছে বাস্তুশাস্ত্রে। তেমনই কিছু গাছ হল মানিপ্ল্যান্ট, জেড প্ল্যান্ট, লাকি প্ল্যান্ট, ফ্রেন্ডশিপ প্ল্যান্ট, তুলসী গাছ ইত্যাদি।
তবে শুধু এইসব গাছ নয়, বাড়িতে অপরাজিতা ফুলের গাছ লাগানোর কথাও বলা হয় বাস্তুশাস্ত্রে। এই অপরাজিতা ফুল ভগবান শিব ও নারায়ণের খুবই প্রিয়। তাই এই গাছ বাড়িতে থাকলে সেই বাড়িতেও মা লক্ষ্মীর আগমন ঘটে, এমনটাই বলে থাকেন বাস্তুবিদরা। কিন্তু কোথায়, কবে, কিভাবে লাগাবেন এই গাছ? বাস্তু শাস্ত্রের মতে, দেবী লক্ষ্মীর কৃপালাভের জন্য বাড়িতে অপরাজিতা ফুলের গাছ লাগানো উচিত। কারণ শাস্ত্রে অপরাজিতা ফুলকে অত্যন্ত শুভ হিসেবে বিবেচিত করা হয় এবং অপরাজিতা ফুলের সঙ্গে যোগ রয়েছে দেবদেবীর। পাশাপাশি এই গাছ লাগালে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার ঘটে।
বাস্তু শাস্ত্রে মনে করা হয় যে, এই ফুলের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু প্রতিকার রয়েছে যা ঘরে সুখ ও শান্তি নিয়ে আসে। বিশেষ করে কেউ যদি আর্থিক সমস্যায় ভুগে থাকেন, অপরাজিতা ফুলের প্রতিকার তাকে সাহায্য করতে পারে। কারণ এই ফুলের গাছ লাগলে ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। সেই সঙ্গে গৃহে আসে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি। এছাড়াও প্রতি সোমবার উপবাস করে মহাদেবের পুজো করে শিবলিঙ্গে একটি অপরাজিতা ফুল নিবেদন করুন। এরপর রুদ্রাক্ষের জপমালা হাতে নিয়ে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করুন। এর ফলে ধীরে ধীরে আর্থিক কষ্ট মিটে যাবে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্য ও অনুমানের উপর রচিত। কোনোরূপ কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া প্রতিবেদকের অভিপ্রায় নয়।