Hoop StoryHoop Trending

রিকশাচালক বাবার স্বপ্ন পূরণ, মেয়ের মাথায় উঠল ‘মিস ইন্ডিয়া’র মুকুট

কথাতেই আছে স্বাদ থাকলেই সাধ্য হয়। তাই ইচ্ছা থাকা ভীষণ দরকার। মনের জোর থেকেই পরবর্তীকালে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া যায়, পথে যতই বাধা বিপত্তি আসুক নিজের লক্ষ্য পূরণের জন্য অনেককেই পরিশ্রম করতে দেখা গেছে। সে ক্ষেত্রে কোন ভাবে ভেঙে পড়লে চলে না।

এমন অনেক মানুষকেই দেখা গেছে যারা সারাজীবন ভীষণ কষ্ট করেও তারা নিজের লক্ষ্যে নিজেই ঠিক পৌঁছতে পেরেছেন। যে কোনো বাধা বিপত্তিকে তারা সহজেই জয় করতে পেরেছেন। আজকে জেনে নেওয়া যাক এমনই এক অসাধারণ মেয়ের কথা। সমাজের শুনতে পাওয়া যায় কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা। কিন্তু এই কন্যার পিতা কি সত্যিই কন্যাদায়গ্রস্ত! তা বোধহয় নয়, এই ভাবে নিজের মনের জোরকে সঙ্গী করে অভাবের সঙ্গে লড়াই করে এক কন্যা সে তার বাবার মুখ উজ্জ্বল করেছেন।

বাবা পেশায় একজন রিকশাচালক অল্প স্বপ্ন নিয়ে মেয়েকে তিনি একটু একটু করে মানুষ করছিলেন। কিন্তু ওইটুকু অর্থে কোনো রকমে সংসারটা চলে যায়। অর্থাৎ মাঝে মাঝে তো দুবেলা ভাতের জোগাড় হতো না কিন্তু আজ সেই মেয়ে বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করেছে।

পড়াশোনা বন্ধ করে তাই অতি অল্প বয়স থেকেই জীবিকা অর্জনের জন্য রাস্তায় বেরিয়ে পড়তে হয়েছিল উত্তর প্রদেশের মেয়ে মান্যা সিংকে। পেট চালানোর জন্য দোকানে দোকানে বাসন মেজে, রাতে কল সেন্টারে কাজ করেছেন। সেইভাবেই পড়াশোনা চলেছে এবং চলেছে শরীরচর্চা। সারারাত কল সেন্টারে কাজ করার পরে সেই শরীরটাকে টানতে টানতে নিয়ে যেতেন স্কুলে অর্থাৎ তিনি পড়াশোনাটাও চালিয়েছেন একেবারে নিজের চেষ্টায়।

কয়েকটা টাকা বাঁচানোর জন্য ক্লান্ত শরীরটাকে তিনি হাঁটতে হাঁটতে নিয়ে যেতেন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এতে কটা টাকা বেঁচে যেত। সংসারের সাশ্রয় হত। এইভাবে তীব্র দারিদ্রতার মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠা এই কন্যার। তবে হাল ছেড়ে দেননি চোখে স্বপ্ন মনের জোরকে সঙ্গে রেখে তিনি সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মিস ইন্ডিয়া রানার্সআপ হওয়ার পর এবার মান্যা ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করবেন। অবশেষে পরিশ্রমের জয় হল।