Post office scheme: ৫০০০ টাকা জমা করে পেয়ে যান ৮ লাখ টাকা, বিনিয়োগ করুন এই স্কিমে
পোস্ট অফিসের এই প্রকল্পটি এই মুহূর্তে ভারতীয়দের জন্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে
পোস্ট অফিস ভারতের মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সঞ্চয়ের জায়গা। ভারতের অধিকাংশ মানুষ পোস্ট অফিসে ভালো রিটার্ন পাওয়ার জন্য বিনিয়োগ করে থাকেন। শুধুমাত্র ভালো রিটার্নই নয়, নিরাপদ বিনিয়োগের সব থেকে ভালো রাস্তা হল পোস্ট অফিস। পোস্ট অফিসের সেভিংস প্রকল্প আপনার সঠিক পছন্দ হতে পারে যদি আপনার নিরাপদ বিনিয়োগ এবং ভালো রিটার্ন প্রয়োজন হয়। এতে বিনিয়োগ অত্যন্ত নিরাপদ মনে করা হয় কারণ এটি সম্পূর্ণ সরকারি একটি সংস্থা এবং ভারত সরকারের দ্বারা সরাসরি নিয়ন্ত্রিত হয় এই সংস্থার সমস্ত কার্যকলাপ। পোস্ট অফিসের সব থেকে জনপ্রিয় সেভিংস প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হলো রেকারিং ডিপোজিট প্রকল্প। নিশ্চিত নিরাপত্তার সাথে চমৎকার রিটার্ন দিয়ে থাকে এই দুর্দান্ত প্রকল্পটি।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার পোস্ট অফিসের এই সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্ত সুদের হার সংশোধন করেছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সুদের হার ৬.২% থেকে বাড়িয়ে ৬.৫% করা হয়েছে। অর্থাৎ পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিট প্রকল্পে এখন সুদের হার ৩০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগ করা এখন আরো বেশি লাভজনক বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার তার সঞ্চয় প্রকল্পের হার এমনিতে ত্রিমাসিক ভিত্তিতে সংশোধন করে থাকে।
আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী এক বছর দুই বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য পোস্ট অফিসে এই প্রকল্পে একাউন্ট খুলতে পারেন। এই প্রকল্পটি বেছে নেবার সর্বনিম্ন বয়সসীমা হল ১৮ বছর এবং এর থেকে বেশি বয়সী যে কেউ এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন। অভিভাবকরা তাদের নাবালক সন্তানদের নামে একটি একাউন্ট খুলতে পারেন। অন্যথায় যৌথ অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পে। এই প্রকল্পে একটি অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনি শুধুমাত্র ১০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। এই প্রকল্পে আপনি দশ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে পারেন।
এই সরকারি প্রকল্পে বিনিয়োগ করা অত্যন্ত নিরাপদ এবং এর সুদের পরিমাণ অনেক বেশি। দশ বছরের জন্য প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ করে আপনি একটি মোটা তহবিল তৈরি করতে পারবেন। যদি একজন বিনিয়োগকারী প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা জমা দিয়ে ১০ বছরের জন্য একটি রেকারিং ডিপোজিট প্রকল্প খোলেন তাহলে তিনি ১০ বছর পরে ৮ লাখ টাকা পেতে পারেন। সুদের হিসাব দেখতে হলে, রেকর্ডিং ডিপোজিট একাউন্টে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকার করে বিনিয়োগ করতে হবে এবং ১০ বছর ধরে এই প্রক্রিয়া আপনাকে চালাতে হবে। বর্তমানে ৬.৫ শতাংশ হারে আপনি জমার উপরে সুদ পেয়ে যাবেন।