ছোটবেলায় টুকটাক দুষ্টুমি,বদমাইশি কে না করে বলুন তো? বড় হওয়ার সাথে সাথে সেগুলো ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যায় এবং থেকে যায় আমাদের জীবনের সোনালী রূপকথা হয়ে। কমবেশি সব তারকাদেরই ছোটবেলার দুষ্টু মিষ্টি নানা কথা জানা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মালকিন অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টা নিজের ছোটবেলার সম্পর্কে যা বললেন তা শুনে আপনিও হতবাক হয়ে যাবেন।
কি এমন কাজ করতেন তিনি যার ফলে হতবাক হয়ে গেছে সকল নেটিজেনরা? সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর শৈশবের নানা দুষ্টু মিষ্টি কথা তুলে ধরেন। সেখানে তিনি জানান যখন তিনি ছোট ছিলেন বড়দের মতো খুব ক্লাবে যেতে ইচ্ছা করত তার। সেখানে কি হয় তাঁর সম্পর্কে কোন সম্যক ধারনা তার ছিল না। কিন্তু কিশোর মন নানা অনুমান করতে থাকত সেই ক্লাব নিয়ে। তিনি একদিন নিষ্পাপ মনে মাকে প্রশ্ন করে বসলেন সেখানে কেন ১৮ বছরের নিচে প্রবেশাধিকার নিষেধ লেখা থাকে?
মা তাঁকে খোলাখুলি কিছু না বললেও ক্লাবে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছে থাকতো তাঁর। ক্লাবে যাওয়ার জন্য মাথা থেকে নানা দুষ্টু ফন্দি আঁটতে থাকেন বড় পর্দার ‘জারা’।
যাতে তাঁকে প্রাপ্তবয়স্ক তরুণীদের মত দেখায় এর জন্য তিনি একদিন মায়ের অন্তর্বাস নিয়ে তাঁর মধ্যে দুষ্টুমি করে কমলালেবু ভরে দেন। এবং তাঁর ওপর পোশাক গলিয়ে তিনি সটান উপস্থিত হন পার্টিতে। নিরাপত্তারক্ষী তাঁকে বাধা দিতে চাইলেও তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন যে এখন তিনি অষ্টাদশী, তাই এখানে তাঁর প্রবেশ অবাধ।
এই ঘটনা নিশ্চয়ই প্রীতির মায়ের কান অবধি পৌঁছায়। মেয়ের এই পাকামি দেখে মা তাঁর কি হাল করেছিল এ বিষয়ে তিনি আর কিছু বলেননি। কিন্তু দ্বাদশী প্রীতির অমুলূক এক ধারণা ছিল যে নিটোল স্তন হল বড় হওয়ার একমাত্র লক্ষণ।
সারোগেসির মাধ্যমে গত নভেম্বরে যমজ সন্তানের মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহন করেন তিনি। তাঁর স্বামী জেন গুডেনাফের সঙ্গে সন্তানদের জোরকদমে মানুষ করছেন তিনি। জয় জিন্টা গুডেনাফ এবং গিয়া জিন্টা গুডেনাফ দুটি সুন্দর নামও ভেবেছেন সন্তানদের জন্য। সন্তানদের মানুষ করতে গিয়েই তাঁর মনে পড়ে যায় অতীতের সোনালী দিনগুলির কথা। তিনি বলেন যে তিনি যা দুষ্টু ছিলেন তাতে তাঁকে মা সামলাতে নাজেহাল হয়ে পড়তেন। এখন তিনি বোঝেন মায়ের কি কষ্ট ছিল তখন। তাই সন্তানরা তাঁর মত এরকম দুষ্টুবুদ্ধিতে ভরা হোক তা চান না প্রীতি জিন্টা।