দেশি গার্ল প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ১৯৮২ সালর ১৮ জুলাই বিহারের জামসেদপুরে এক পাঞ্জাবি পরিবারে জন্ম প্রিয়াঙ্কার। প্রিয়াঙ্কা বাবা অশোক চোপড়া ও বাবা মধু চোপড়া দুজনেই ভারতীয় সেনবাহিনীর চিকিৎসক ছিলেন। প্রিয়াঙ্কার বাবা পাঞ্জাবি, বাবা ঝাড়খণ্ডের মেয়ে। প্রিয়াঙ্কার দিদা জ্যোৎস্না অখৌরি ছিলেন সেসময়ের বিহার মন্ত্রীসভার সদস্য। দাদুও ছিলেন রাজনীতিবিদ। ২০০০ সালে মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জেতেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
এরপর তিনি তামিল চলচ্চিত্র ‘তামিজাহান’ দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখলেন, প্রিয়াঙ্কার বিপরীতে বিজয়কে এই ছবিতে দেখা গিয়েছিল। তারপর বলিউডে একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছিলেন। ২০০৩ সালে প্রিয়াঙ্কা রাজ কানওয়ারের চলচ্চিত্র আন্দাজ ছবি দিয়ে বলিউডে পা রাখেন এবং জনপ্রিয়তা পান। বর্তমানে হলিউডের একাধিক ছবিতে কাজ করে ফেলেছেন ‘দেশি গার্ল’। আপাতত নিজের দীর্ঘদিনের প্রেমিক নিক জোনাসকে বিয়ে করে মার্কিন মুলুকেরই বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা।
দেশি গার্ল এখন স্বামী নিক জোনাসের সাথে সংসার করতে বেশ ব্যস্ত। সংসারের পাশাপাশি এই মুহূর্তে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস ব্যস্ত রয়েছেন লন্ডনে। ‘সিটাডেল’ শোয়ের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রী। কয়েকদিন আগেই প্রিয়াঙ্কা শেষ করেছেন তাঁর আপকামিং ছবি ‘টেক্সট ফর ইউ’র শুটিং। প্রিয়াঙ্কা যেমন রুপের দিক দিয়ে সেরা তেমনই গুনের দিক দিয়েও অভিনেত্রী-গায়িকা-প্রযোজক-লেখিকার পর এবার নতুন ইনিংসে পা দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বিদেশের রাস্তায় অনেক ভারতীয় দেশের খাবার পায়না। ভারতীয় রান্নাকে বড্ডো মিস করে। এবার নিউইয়র্কের রাস্তায় পেয়ে যাবেন ভারতীয় খাবারের সেই অতুলনীয় স্বাদ। আর এর পিছনে আছেন নায়িকা প্রিয়াঙ্কা নিজে। নতুন রেস্তরাঁ খুলতে চলেছেন অভিনেত্রী। স্বপ্নের এই রেস্টুরেন্টের নাম দিয়েছেন ‘সোনা’।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাসের কাছে অন্যতম ব্যস্ত বছর। তারই মাঝে নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে বেশ সক্রিয় অভিনেত্রী। নানান ছবি পোস্টের সাথে সিনেমার কাজ নিয়ে ছবি পোস্ট করে থাকেন। এবার অভিনেত্রী নিজের টিনেজ সময়ের স্মৃতির পাতা উল্টো নস্টালজিক হয়ে পড়লেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বছর ১৯-এর একটি ছবি শেয়ার করেছেন পিগি চিপস। যেখানে তাঁকে একটি সাদা বিকিনি ও ট্রাউজার পরে থাকতে দেখা যাচ্ছে। পাশ্চাত্যের সঙ্গে কপালে ভারতীয় লুকে টিপও পরেছেন। ছিমছাম ফিগারে এই লুকে পুরোপুরি ইন্দো-ওয়েস্টার্ন লুক লাগছিল অভিনেত্রীকে। এই ছবির ক্যাপশানে অভিনেত্রী লিখেছেন, ”লজ্জা শব্দটা সে কোনওদিনও শোনেনি। বছর ১৯-এর ছবি।” হ্যাশট্যাগে দিয়েছেন #বিন্দিঅ্যান্ডবিকিনি। এরপর অন্যান্য ছবির মতো এই ছবিও ভাইরাল।
View this post on Instagram