জাতীয় পুরস্কার এমন একটা পুরস্কার যার মধ্যে দিয়ে একজন অভিনেত্রীর মান অনেক অংশে বেড়ে যায়। সেরকমই এই জাতীয় পুরস্কার পাওয়া ও না পাওয়া নিয়ে দুই শক্তিশালী অভিনেত্রীর মধ্যে চরম বাকযুদ্ধ শুরু হয়।
দুই অভিনেত্রী বলতে প্রিয়াঙ্কা ও করিনার কথা হচ্ছে। কেরিয়ারের একদম শুরুর দিক থেকে এই দুজনের মধ্যে চাপা যুদ্ধ চলতেই থাকে। প্রিয়াঙ্কার গায়ের রং, স্টাইল, ড্রেস বেবোর প্রথম থেকেই না পসন্দ।একবার তো প্রিয়াঙ্কাকে করিনা কালি বিল্লি পর্যন্ত বলে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। কাপুর খানদানের মেয়ে হওয়ার দরুন একচেটিয়া আধিপত্য প্রথম থেকেই মেইনটেইন করতেন। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে প্রিয়াঙ্কা ‘ফ্যাশন’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্রপুরস্কার ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে তিনি ভারত সরকার প্রদত্ত চতুর্থ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী অর্জন করেন এবং টাইম ম্যাগাজিন প্রকাশিত তালিকায় শীর্ষ ১০০ প্রভাবশালী নারী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
এই জাতীয় পুরস্কার করিনার ঝুলিতে আসেনি। ২০০৭ সালের জব উই মেট চলচ্চিত্রে গীত চরিত্রে অভিনয়ের জন্য জন্য ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার পান। এবং অন্যান্য পুরস্কার পান তিনি কিন্তু জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার জায়গা তার শূন্য।
এদিকে কফি উইথ করণ শোতে একবার করিনাকে জিজ্ঞাসা করা হয় ‘জাতীয় পুরস্কার ‘ নিয়ে তাঁর কি মনোভাব? কারণ করিনা তাঁর কেরিয়ারে তখনও জাতীয় পুরস্কার না জিতলেও ‘ ফ্যাশন ‘ ছবির জন্য ততদিনে নিজের ঝোলায় একটি জাতীয় পুরস্কার ভরে ফেলেছেন দেশি গার্ল। যাইহোক, করণের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন যে তাঁর জাতীয় পুরস্কারের কোনও প্রয়োজন নেই। ভিড় জমিয়ে সিনেমা হলে দর্শক তাঁর ছবি দেখতে আসুক এবং সেই ছবি দেখে তাঁরা যেন আনন্দ পান, এবং এটাই তাঁর কাছে যথেষ্ট । এরপর প্রিয়াঙ্কার উদ্দেশে করিনার জিজ্ঞাসা ছিল তিনি জানতে চান কোথা থেকে প্রিয়াঙ্কা তাঁর ইংরেজি উচ্চারণ শিখেছেন ?
নাহ, প্রিয়াঙ্কা ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন। পরবর্তী শোতে প্রিয়াঙ্কা এলে এই দুটির উত্তর তিনি দিয়েছেন। ইংরেজি শেখা নিয়ে প্রিয়াঙ্কা সাফ জানান, ঠিক সেই একই জায়গা থেকে যেখান থেকে তাঁর প্রেমিক অর্থাৎ সইফ আলি খান ইংরেজি শিখেছেন। এখানেই থামেননি তিনি। জাতীয় পুরস্কার প্রসঙ্গে পিগি চপস বলেন, জাতীয় পুরস্কার না জিতলে তো আঙ্গুর ফল টক হবেই।