Ritabhari Chakraborty: প্রযোজকের দেওয়া এই শর্তে রাজি হতে পারেননি ঋতাভরী!

মহিলাদের শারীরিক ওজন বেড়ে যাওয়ার অথবা কমে যাওয়া নিয়ে তাঁদের যথেষ্ট সমালোচনা হয় প্রাচীন কাল থেকেই। অত্যধিক মোটা হলে একসময় বলা হত, “কোন রেশনের চাল খাও?”। রোগা হলেও সমস্যা। বলা হয় ‘তালপাতার সেপাই’। আগামী দিনে ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty) অভিনীত ফিল্ম ‘ফাটাফাটি’ বলবে এক প্লাস সাইজ মডেলের কথা। কিন্তু এই ফিল্মে অভিনয়ের জন্য ঋতাভরীকে যথেষ্ট ওজন বাড়াতে হয়েছিল। সেই সময় তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার ফলে তাঁর ওজন যথেষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ওই সময় হাতে কয়েকটি অন্য চিত্রনাট্য থাকলেও ঋতাভরী প্রাধান্য দিয়েছিলেন শুধুমাত্র ‘ফাটাফাটি’-কেই।

কিন্তু ‘ফাটাফাটি’-র শুটিং শেষ হওয়ার পর সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল ঋতাভরীকে। সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন এই কথা। ঋতাভরী বলেছেন, ‘ফাটাফাটি’-র শুটিং শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যেই তাঁর কাছে একটি ওয়েব সিরিজের প্রস্তাব এসেছিল। ওই ওয়েব সিরিজের নির্মাতাদের তরফে ঋতাভরীকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ওজন কমিয়ে ফেলতে বলা হয়েছিল। তাঁরা ঋতাভরীকে একটি বিশেষ ডায়েটের কথা বলেছিলেন যার ফলে বাড়তি ওজন দুই সপ্তাহের মধ্যে কমিয়ে ফেলা সম্ভব। কিন্তু অভিনেত্রী জানতেন, এই ধরনের ডায়েট অস্বাস্থ্যকর।

ফলে তিনি নিজের শরীরের কথা চিন্তা করে মারাত্মক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে চাননি। ঋতাভরী সুস্থ ও স্বাভাবিক পদ্ধতিতে ওজন কমানোর জন্য ছয় মাস সময় চেয়েছিলেন। সাক্ষাৎকারে ট্রোলিং প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন ঋতাভরী। তিনি বলেন, যে ধরনের সমালোচনার ফলে তাঁর উন্নতি হতে পারে, তাতে তাঁর কষ্ট হয় না। বিরোধিতা না করে এই ধরনের সমালোচনা থেকে শিক্ষা নেন ঋতাভরী। কিন্তু ফিল্মের জন্য চেহারার পরিবর্তন প্রযোজক বা পরিচালকের সিদ্ধান্ত।

কারণ তাঁরা তাঁদের শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে ওই চরিত্রের গঠন করেছেন। কিন্তু চরিত্রের জন্য প্রয়োজনীয় লুক নিয়ে আক্রমণ করার অর্থ এক অভিনেতা বা অভিনেত্রীর শিল্পীসত্ত্বার প্রতি আক্রমণ। অর্থাৎ শিল্পের ক্ষেত্রে সমস্যা না থাকলেও তা মেনে নিতে সমস্যা তৈরি হয় মানুষের মানসিকতায় যা সঠিক নয়।