অভিনেত্রী থেকে সঞ্চালক, আর এখন রাজনীতিবিদ। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rachna Banerjee) জীবনে আসছে একের পর এক বড় মোড়। লোকসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি। হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন ভোটে। নির্বাচনের আগে চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। সেই উত্তাপ উপেক্ষা করেই চলছে প্রচার পর্ব। এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত প্রচার করে বেড়াচ্ছেন তিনি। ওদিকে দিদি নাম্বার ওয়ানের শুটিংও কিন্তু থেমে নেই। রাজনৈতিক দায়িত্বের সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চালনার দায়িত্বও সামলাচ্ছেন রচনা। কিন্তু এই দুইয়ের মাঝে পড়ে বাড়িতে ছেলেকে কতটা সময় দিতে পারছেন তিনি?
সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ানের নতুন পর্বের প্রোমো ভাইরাল হয়েছে। ছোটপর্দার একাধিক অভিনেত্রীকে দেখা যাবে এই পর্বে। সেখানেই রচনাকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি যখন বাড়িতে থাকেন না তখন তাঁর ছেলে প্রণীল কতটা উপভোগ করেন? উত্তরে রচনা বলেন, ‘ভীষণ উপভোগ করে’। বলেই হেসে ফেলেন রচনা।
এর আগে একবার সুদীপা চট্টোপাধ্যায় দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে জানিয়েছিলেন, একরকম সিঙ্গেল মাদার হিসেবেই ছেলেকে বড় করেছেন রচনা। শুট শেষ হতেই তিনি দৌড়াতেন বাড়ির পথে। যানজটে যাতে দেরি না হয়ে যায় তার জন্য বোরখা পরে মেট্রোতে চেপে বাড়ি যেতেন। বাড়ি ফিরে ছেলেকে পড়তে বসাতেন। কিন্তু রাজনীতিতে পা রাখতে ছেলের জন্য এখন সময় অনেকটাই কমে গিয়েছে রচনার।
এর আগে অবশ্য রচনা জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই তাঁর রাজনীতিতে আসা। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান জানানোটা কর্তব্য বলে মত তাঁর। তবে রচনা জানান, রাজনীতিতে এলেও নির্বাচনে লড়বেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতে তাঁর বেশ সময় লেগেছিল। অন্তত এক মাস ধরে আলোচনা করেছেন তিনি। তাঁর মূলত চিন্তা ছিল ছেলে প্রণীলকে নিয়ে। টুয়েলভে পড়ছে প্রণীল। তাকে কতটা সময় দিতে পারবেন তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন রচনা। তবে শেষমেষ মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই রাজি হয়ে যান তিনি। যদিও রচনা স্পষ্ট বলেছিলেন, তাঁর ছেলে এই সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি নয়। কারণ এখন থেকে হুগলীতে থাকতে হবে রচনাকে। মা তাকে ছেড়ে চলে যাবে, তাই অভিমান প্রণীলের। তবে রচনা তাকে আশ্বস্ত করেছেন, তার পাশে মাকে সবসময় পাবে।
View this post on Instagram