এই দিনেই একটা নতুন গল্পের সূচনা করেছিলেন রাজ ও শুভশ্রী। এই শুরুর আগে একবার আচমকা এনগেজমেন্টের অনুষ্ঠান করেন। কেউ বুঝতেই পারেননি রাজ চক্রবর্তী পুনরায় বিয়ের পিড়িতে বসছেন। কারণ রাজ মানেই টলি পাড়ায় গুঞ্জন যে তার একাধিক নায়িকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। বিশেষ করে মিমি চক্রবর্তী ও পায়েল সরকারকে নিয়ে টলি পাড়ায় বিস্তর গুজব।
অবশ্য সব গুজবে জল ঢেলে বা সমস্ত সম্পর্ক থেকে নিজেকে সরিয়ে শুভশ্রীর কোলে শান্ত হয়েছেন রাজ। হ্যাঁ, অভিমান’ দিয়ে শুরু.. শুভশ্রীর রাজের ‘পরিণীতা’ হয়ে উঠার স্বপ্নসফর সত্যিই রূপকথাকে হার মানায়! দক্ষিণ ২৪পরগনার বাওয়ালি রাজবাড়িতে বসেছিল বিয়ের আসর। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে শতাব্দী মিত্রের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন রাজ চক্রবর্তী প্রথমবার। যদিও প্রথম স্ত্রীয়ের সঙ্গে ২০১১ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁর। শোনা যায় ইন্ডাস্ট্রির নায়িকাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গতার জন্যই তাঁদের মধ্য সমস্যার সুত্রপাত।
বিয়ের দিন লাল বেনারসি আর চন্দনের সাবেকি সাজে সেজে উঠেছিলেন শুভশ্রী। বাওয়ালি রাজবাড়িতে সাত পাকে বাঁধা পড়েন এই তারকা জুটি। দেখতে দেখতে তিন বছর পার করে ফেললেন রাজ শুভশ্রী তাদের বিয়ের। এদিন বিয়ের সময়ের ছবি পোস্ট করে শুভশ্রী লেখেন জীবনে সেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
View this post on Instagram
রাজ চক্রবর্তী, যিনি এখন একজন শুধু পরিচালক নন, রাজনীতিবিদ বটে, একজন বাবা, একজন সন্তান ও একজন স্বামী। সব নিয়ে রাজের এখন দারুন সময়। বিয়ের তৃতীয় বছর উপলক্ষ্যে তিনিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় বিয়ের ছবি তুলে লিখলেন যে শুভশ্রী তার শুধু স্ত্রী নন, একজন ভালো বন্ধুও। শুভশ্রীর মধ্যে তিনি ভালোবাসা, শান্তি, আনন্দ, বন্ধুত্ব সব খুঁজে পেয়েছেন। তিন বছর আগে শুভশ্রী যে তাকে স্বামী হিসেবে চয়ণ করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ।
View this post on Instagram
বর্তমানে রাজের জীবন থেকে অবশ্য এই সমস্ত কেচ্ছা, অপবাদ, গুঞ্জন এখন অতীত হয়ে গিয়েছে। রাজের জীবনে শুধুই এখন শুভশ্রী আর তাদের আদরের সন্তান ইউভান।