Hoop PlusTollywood

Raj Chakraborty: একাধিক প্রেম, দুই বিয়ে-সন্তান, নতুন করে প্রেমে পড়ার কথা বলে বেফাঁস রাজ

একাধিক প্রেমের সম্পর্ক, দুটি বিয়ে, পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty) ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কম চর্চা নেই টলিপাড়ায়। বর্তমান বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম খ্যাতনামা পরিচালক তিনি। স্ত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ও (Subhashree Ganguly) প্রথম সারির নায়িকা। দুজনে মিলে ইন্ডাস্ট্রির ‘হেভিওয়েট কাপল’। তাঁদের পেশাগত জীবনের থেকেও বেশি চর্চায় থাকে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন। বিয়ের পরে প্রেম কমার বদলে আরো বেড়েছে ‘রাজশ্রী’র। নিন্দুকদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিব্যি প্রকাশ্যেই ভালোবাসার উদযাপনে মাতেন দুজনে। তাঁদের সুখী দাম্পত্য অনেকের কাছেই একাধারে অনুপ্রেরণা এবং ঈর্ষার কারণও বটে।

এহেন রাজের মুখেই শোনা গেল নতুন করে প্রেমে পড়ার কথা। দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায় এবং অনিন্দ্য সেনগুপ্ত অভিনীত আসন্ন ওয়েব সিরিজ ‘প্রেমে পড়া বারণ’ এর ট্রেলার লঞ্চে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ। সেখানেই প্রেম নিয়ে বিষ্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, প্রেমের সংজ্ঞা যা দেওয়ার তো তিনি দিয়েই দিয়েছেন। দুটো বাচ্চাও হয়ে গিয়েছে। এখন আর নতুন করে প্রেমের সংজ্ঞা কী দেবেন!

তবে যাদের এখনো পর্যন্ত সন্তান হয়নি তাদের চুটিয়ে প্রেম করার পরামর্শ দিলেন রাজ। বিয়ে করলেই বোঝা যাবে প্রেমের মজা। পরিচালকের কথায়, বিয়ের আগের প্রেমে এক ধরণের গ্ল্যামার রয়েছে, আবার বিয়ের পরবর্তী প্রেমে আরেক ধরণের। কোন গ্ল্যামারটা কে কেমন উপভোগ করবে সেটা তাদের ব্যাপার। ‘প্রেমে পড়া বারণ’ এর গল্পের প্রশংসা করে রাজ বলেন, বেঙ্গলি কনটেন্ট বড্ড সিরিয়াস। সিরিজে প্রেমের গল্প খুব একটা হয় না। দেবচন্দ্রিমা এবং অনিন্দ্য দুজনেরই প্রশংসা করেন রাজ।

প্রসঙ্গত, শুভশ্রী রাজের দ্বিতীয় স্ত্রী। এর আগে একবার বিয়ে হয়েছিল তাঁর। ভেঙেও যায় সেই বিয়ে। তবে এ বিষয়ে কখনোই তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি পরিচালককে। শুভশ্রীকে বিয়ের আগে প্রেমও কম আসেনি রাজের জীবনে। অভিনেত্রী পায়েল সরকার, মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল টলিপাড়ার হট টপিক। তবে শেষমেষ শুভশ্রীকে পছন্দ করে তাঁর সঙ্গেই সারা জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন রাজ। এখন তাঁদের দুই ছেলে মেয়ে। দিব্যি সুখে দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন রাজ শুভশ্রী।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই