রবিবার, 18 ই জুন দেশজুড়ে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক পিতৃদিবস। এই দিনে সেলিব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষের পোস্টে ভরেছে সোশ্যাল মিডিয়া। কেউ পিতৃস্মৃতি স্মরণ করেছেন, কেউ বাবাদের জানিয়েছেন ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা। করোনাকালে রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty) হারিয়েছেন তাঁর বাবা কৃষ্ণশঙ্কর চক্রবর্তী (Krishna Shankar Chakraborty)-কে। তবে একই বছর তাঁদের একমাত্র পুত্রসন্তান ইউভান (Yuvan)-এর জন্ম দিয়েছেন শুভশ্রী (Subhashree Ganguly)। পেশায় শিক্ষক কৃষ্ণশঙ্করবাবু তাঁর ছেলে রাজকে যেভাবে বড় করেছেন, তার তুলনায় ইউভানের বেড়ে ওঠা অনেকটাই আলাদা বলে মনে করেন রাজ। কারণ পাল্টে গিয়েছে সময় ও দৃষ্টিভঙ্গী। ফলে পাল্টে গিয়েছেন মানুষ। ফলে নিজের বাবার সাথে রাজের পার্থক্য রয়েছে। তবে রাজ তাঁর ছেলেকে সেই সব কিছুই দিতে চান যা তিনি নিজের বাবার কাছ থেকে পাননি। তবে রাজ মনে করেন, তাঁর মা-বাবার জন্য আজ এই স্থানে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি।
রাজ ভালো বাবা হতে চান। তিনি সন্তানকে বুঝতে চান। তাকে সময় দিতে চান। মা সন্তানের জন্মদান থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজের অবদান রাখলেও বাবাদের কর্তব্যে বিশ্বাসী রাজ। মা-বাবার সমান দায়িত্বকে সম্মান দিয়ে নতুন অতিথি আসার সুখবর দিতে একসময় রাজ ও শুভশ্রী লিখেছিলেন, তাঁরা অন্তঃসত্ত্বা। তবে সন্তানদের উচিত বাবাকে সময় দেওয়া বলে মনে করেন রাজ। শুভশ্রী শুধুমাত্র তাঁর স্ত্রী নন, যথেষ্ট ভালো বন্ধুও। রাজের মতে, শুভশ্রী একজন সঠিক অভিভাবক। তাঁরা ইউভানকে একটি সুন্দর পরিবেশ ও মূল্যবোধ দিতে চান।
কেরিয়ারের ক্ষেত্রে সন্তানের উপর নিজের মত চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নন রাজ। ইউভান অবশ্য মাতৃকেন্দ্রিক। শুভশ্রীর মতো সে-ও যথেষ্ট এনার্জেটিক। মা-বাবার মাঝে শুয়ে ঘুমাতে পছন্দ করে ইউভান। তবে রাতে শুতে যাওয়ার আগে তাকে গল্প শোনাতে হয়। নাহলে ঘুম আসে না ইউভানের।
ইউভান আসার পর বাড়ির পরিবেশ বদলে গিয়েছে। বাচ্চা পছন্দ করেন শুভশ্রী। তাঁর দিদি রয়েছেন। রাজও একা নন। তাঁরও বড় দিদি রয়েছেন। ফলে ইউভানের জীবনেও তাকে একটি ছোট্ট ভাই বা বোন উপহার দিতে চান তার মা-বাবা যে হয়ে উঠবে ইউভানের খেলার সাথী।
View this post on Instagram